২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:০২:১৪ পূর্বাহ্ন


ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রাইভেট টিউটরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০২-২০২২
ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রাইভেট টিউটরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রাইভেট টিউটরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


নড়াইলে ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রাইভেট টিউটরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ সানা মো. মাহরুফ হোসাইন এ দণ্ডাদেশ দেন।

 এ ছাড়া ধর্ষণদৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক ধারায় তাকে মোট আট বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দেড় বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত মনিরুজ্জমানের ছেলে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রাইভেট টিউটর আশরাফুজ্জামান রানা তার প্রতিবেশী স্কুলছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবরসহ বিভিন্ন সময় নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য কৌশলে ক্যামেরায় ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে। 

সে সময় নির্যাতিতা ভয়ে-লজ্জায় সবকিছু গোপন করে। পরে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হলে বিয়ে ভাঙতে আশরাফুজ্জামান রানা বরপক্ষকে তার কাছে থাকা আপত্তিকর ছবি বরপক্ষকে দেখানোয় ঘটনা জানাজানি হলে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে লোহাগড়া থানায় আশারাফুজ্জামান রানার বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

এ মামলায় গ্রেফতার রানা আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ৩০ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। 

১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার রায়ের ধার্যদিনে আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। 

এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি ধারার একটিতে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর, অপর একটি ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। রায় পর্যায়ক্রমে একটির পর একটি কার্যকরেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রাজশাহীর সময় /এএইচ