১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:৩১:৪২ অপরাহ্ন


একদিনে শেয়ারবাজার থেকে এক হাজার কোটি টাকা উধাও!
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০২-২০২২
একদিনে শেয়ারবাজার থেকে এক হাজার কোটি টাকা উধাও! ফাইল ফটো


শেয়ারবাজার থেকে এক দিনের মাথায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর (ব্যাট) শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৯১৮ কোটি টাকা।

গত বছরের শেষদিনে কোম্পানিটি বিগত ১২ বছরের হিসাবে সব থেকে কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। 

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী গতিধারা থাকলেও বড় রকমের দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে ব্যাট।

বাংলাদেশে তামাকজাত কোম্পানির শীর্ষে অবস্থান করছে বহুজাতিক কোম্পানি ব্যাট। নিজেদের অবস্থানের জন্যই বিনিয়োগকারীদের কাছে আস্থার জায়গা ছিল ব্যাট।

করোনাসময়ের মধ্যেও ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়। তার আগে ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এতে বছরটিতে কোম্পানিটির দেওয়া মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার।

বড় লভ্যাংশ ঘোষণার ফলে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বাড়ে ৩ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। অবশ্য শুধু ২০২০ সালের জন্য নয়, তার আগেও নিয়মিত বড় লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০১৮ সালে ৫০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এ ছাড়া ২০১৭ ও ২০১৬ সালে ৬০০ শতাংশ নগদ এবং ২০১৫ সালে ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

টানা লভ্যাংশ দেওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় পরিণত হয় ব্যাট। কিন্তু গত বছর কোম্পানিটি তাদের বিনিয়োগকারীদের সর্বনিম্ন লভ্যাংশ দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন ব্যাটে বিনিয়োগ করা সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ব্যাটের একটি শেয়ারমূল্য ছিল ৬৪৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই দাম নেমে এসে দাঁড়ায় ৬৩৫ টাকায়। দিনের মধ্যভাগে শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৬০৫ টাকায়। যদিও দিনশেষে দাম কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২৭ টাকা ৫০ পয়সায়। ততক্ষণে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে গেছে ৯৮১ কোটি টাকা। 

উল্লেখ্য, ৫৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। 

এ ছাড়া বিদেশিদের কাছে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ এবং ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। সরকারের কাছে আছে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।

রাজশাহীর সময় /এএইচ