২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:৫৯:২৪ পূর্বাহ্ন


হংকংয়ে কঠোর কোভিড-বিধির মধ্যেও দৈনিক সংক্রমণ হাজার ছাড়িয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০২-২০২২
হংকংয়ে কঠোর কোভিড-বিধির মধ্যেও দৈনিক সংক্রমণ হাজার ছাড়িয়েছে ফাইল ফটো


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সেসব জায়গায় সব থেকে কঠোর লকডাউন আরোপ এবং তা বাস্তবায়ন হচ্ছে, এশিয়ার বাণিজ্য নগরী হংকং তার অন্যতম। হংকং প্রশাসন মহামারীর শুরু থেকেই 'জিরো-কোভিড' নীতি অনুসরণ করছে।সেখানে কেউ কোভিড 'পজিটিভ' হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া বাইরে খাবার খাওয়া এবং সামাজিক জমায়েতের উপরও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আছে।ফলে সেখানে শুরু থেকেই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। কিন্তু এখন যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

হংকং ফ্রি প্রেস দেশটিতে বুধবার একদিনে ১ হাজার ১৬১ জনের নতুন কোভিড শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষ আইসোলেশনের জন্য যে ব্যবস্থা রেখেছে তার ৯০ শতাংশ শয্যা এরই মধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে। এদিকে, আগামী কয়েক দিনে সংক্রমণ আরও বাড়ারই আশঙ্কা করা হচ্ছে।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হংকংয়ে দৈনিক সংক্রমণ মার্চের শেষ নাগাদ দৈনিক ২৮ হাজারে পৌঁছতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন টিকা না নেওয়া বয়স্ক মানুষেরা।স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত দুইশ রোগী হাসপাতালে ভর্তির অপেক্ষায় ছিল। কোভিড 'পজিটিভ' রোগীরা হাসপাতালের দুর্ঘটনা এবং জরুরি ইউনিটেও ভর্তি হতে চেষ্টা করছেন- এমন খবরও পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির জন্য রোগীদের কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।সম্প্রতি হংকংয়ে নতুন শাখা খুলেছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, হংকং প্রশাসন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এখন যেসব রোগীদের বাড়িতে রেখেই চিকিত্‍সা দেওয়া সম্ভব তাদের জন্য হোটেল ভাড়া করার কথা ভাবছে।

লুনার নিউ ইয়ারের কারণে হংকংয়ের বাসিন্দারা নগরীর বাইরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কারণেই সংক্রমণ বেড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নগরীতে বিধিনিষেধ আরো কঠোর হচ্ছে। দুই জনের বেশি মানুষ এক জায়গায় থাকতে পারবেন না। রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না। তবে খাবার কেনা যাবে। লাইব্রেরি, মিউজিয়াম এবং জিম বন্ধ থাকবে।প্রশাসনের এত কড়াকড়ি স্বাভাবিকভাবেই নগরীর ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর প্রভাব ফেলছে। কেউ কেউ বলছেন, বিধিনিষেধ আরও দীর্ঘ হলে হংকংয়ের এশিয়ার বাণিজ্য নগরীর স্ট্যাটাস হুমকির মুখে পড়বে। নগরীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও ধ্বংস হয়ে যাবে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ