২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৫৪:২১ পূর্বাহ্ন


যে কারণে ঘুমানোর আগে জল পান করবেন!
ফারহানা জেরিন এলমা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০২-২০২২
যে কারণে ঘুমানোর আগে জল পান করবেন! ফাইল ফটো


সারাদিনে মোট আট গ্লাস জল পান করার কথা থাকলেও, হিসেব করলে দেখা যাবে কখনোই ঠিকভাবে আট গ্লাস জল পান করা হয় না। এছাড়া রাতে ঘুমানোর পুরো সময়টাতে শরীর কোন জল পায় না। ফলে সে সময়ের মাঝে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়।

তাইতো ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দেন চিকিত্‍সকেরা। এতে করে ঘুমানোর পুরো সময়টাতে শরীরে জলের চাহিদা মেটার সঙ্গে বেশ কিছু উপকারিতাও পাওয়া যায়। জেনে নিন ঘুমানোর আগে জল পানের কয়েকটি উপকারিতা।

দূরে রাখে মানসিক অবসাদ: ২০১৪ সালের একটি গবেষণা সুপারিশ করে, ঘুমানোর আগে জল পান না করলে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। যা থেকে দেখা দেয় মানসিক অবসাদ। এই অবসাদের সঙ্গে জুরে বসে দুশ্চিন্তা। মন প্রফুল্ল ও দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতেই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জল পান করা প্রয়োজন।

বৃদ্ধি পায় শরীরের কর্মক্ষমতা: রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জল পানে পেশি ও জয়েন্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় এনার্জির লেভেল। শুধু তাই নয়, শরীরে জলের অভাব মেটার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হরমোনের নিঃসরণ ঠিক মতো হয়। ফলে সার্বিকভাবে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে!

সুস্থ থাকে ত্বক: ঘুমানোর আগে জল পানে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়, ফিরে আসে ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা। ফলে প্রাকৃতিকভাবেই ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও কমতে শুরু করে।

দূর হয় ইনসমনিয়া: ঘুমানোর পূর্বে জল পান করার ফলে হরমোনাল ইমব্যালেন্স দূর হয়। একই সঙ্গে কমে পেশির ক্লান্তিভাব। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর এবং মনে প্রশান্তিভাব কাজ করে। যে কারণে খুব সহজে ও অল্প সময়ের মাঝেই ঘুম চলে আসে। জল পানের এই অভ্যাসের ফলে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে অনিদ্রার সমস্যাও দূর হয়।

শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়: ঘুমানোর আগে যে এক গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, জলটি যদি কুসুম গরম হয় তবে তার জন্য রয়েছে এই উপকারিতাটি। কুসুম গরম জল পানের ফলে শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরে রক্তপ্রবাহ ও চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে করে শরীর ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ