২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪০:৩০ অপরাহ্ন


চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৭
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১২-২০২২
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৭ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৭


খুলনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে শত শত বেকার তরুণ-তরুণীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে 'অগ্নি' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই প্রতিষ্ঠানের নারীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- অগ্নি কোম্পানির মূলহোতা অভয়নগরের সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ (৩১), খুলনার দিঘলিয়ার সাহাবুদ্দিন (৪০), ঝালকাঠি রাজাপুরের সোহেল (২৮), মোল্লারহাট হাড়িদাহের রেজাউল করিম (৩০), সাতক্ষীরা শ্যামনগর জাদরপুরের জাহিনুর ইসলাম (২০), নগরীর বয়রার জহিরুল ইসলাম (২০) ও ঝালকাঠির রাজাপুরের এক নারী সদস্য।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে র‍্যাব-৬ খুলনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সারোয়ার হোসেন জানান, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৬ জানতে পারে খুলনা মহানগরীতে একটি প্রতারক চক্র ফেসবুকে চাকরির চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেকার তরুণ-তরুণীকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে আসছিলো। আভিযানিক দলটি গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে প্রতারক চক্রটি বেশ কিছু তরুণ-তরুণীকে তাদের অফিসে আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে।

গত শনিবার রাত ৮টায় র‍্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল খুলনার সোনাডাঙ্গা হাফিজনগর এলাকায় এন এইচ টাওয়ারের ৬ তলায় অবস্থিত অগ্নি কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদেরও উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য এবং আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি তরুণ-তরুণীদরে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদেরকে অফিসে ডেকে নানা ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করতো এবং তাদেরকে অন্যদের ফাঁদে ফেলানোর কাজে বাধ্য করতো।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ফোন, ৪টি ল্যাপটপ, ৪০টি ভর্তি ফরম, ৪৫টি অঙ্গীকার নামা, ১টি সিসি ক্যামেরার ডিভাইস, ৪টি রেজিস্টার, ৫৪ হাজার ২১০ টাকা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জব্দ করা আলামত ও আসামিদেরকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।