টেস্টে ধীরে হলেও ক্রমশ উন্নতি করছে বাংলাদেশ দল। জয়ের খুব কাছে গিয়েও অভিজ্ঞতার জন্য ঢাকা টেস্ট হেরেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। আগামী বছর টেস্টে দলকে আরও পরিণত করতে কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়েও পরিবর্তনের আভাস দেন বিসিবির এ পরিচালক।
সময়ের হিসেবে ২২ বছরের বেশি পার হলেও এখনো টেস্ট ক্রিকেট খেলতেই শেখেনি বাংলাদেশ। মাঝে দু-একটা ঝলক দেখালেও হতাশ হতে হয়েছে অধিকাংশ সময়ই। আর এর নেপথ্যের অনুঘটক ক্রিকেটারদের যাচ্ছেতাই ব্যাটিং। ব্যতিক্রম ছিল না ভারত সিরিজেও।
তবে শুরু ভারত নয়, চলতি বছর ব্যতিক্রম লিটন ছাড়া ব্যাটে কেউই সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে হারের পর সে হতাশা লুকালেন না বিসিবির এ পরিচালক।
তিনি বলেন, ‘লঙ্গার ভার্সনে ভালো করতে পারলে বাকি ফরম্যাটগুলোও ভালো হবে। ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করেছিলাম। সেখানে আমরা তিনশ’র বেশি করতে পারতাম। তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত।’
সঙ্গে যোগ হয়েছে মুশফিকসহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের টানা অফফর্ম। তাইতো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ব্যাটিং স্লটে পরিবর্তনের ইঙ্গিত এ বোর্ড পরিচালকের। ইঙ্গিত দিলেন কোচিং স্টাফে পরিবর্তন আনারও।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘কয়েকজন খেলোয়াড় টেস্ট দল থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছে। তবে কিছু নতুন খেলোয়াড় এসেছে। টেস্ট দলে আরও কিছু নতুন খেলোয়াড় নেয়া হবে। এখানে সেট হতে তাদের কিছুটা সময় লাগবে। এখন যাদের নেয়া হচ্ছে, তারা ভবিষ্যতে ভালো করবে বলে আশা রাখি। এছাড়া টেস্ট দলের জন্য সামনে কিছু পরিবর্তন আনব।’
আগামী বছর মোটে ৫টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তাইতো ২০২৩ সালে টেস্ট ক্রিকেট কাঠামোকে আরও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা বোর্ডের।