নীলফামারী সদরে বিয়ের দাবিতে শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবুর (২৮) বাড়িতে এক স্কুল ছাত্রী (১৬) অনশন করছে। অনশনরত ওই ছাত্রী সদর উপজেলার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে।
রোববার রাতে সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বড় খামাতপাড়া গ্রামে শিক্ষকের বাড়িতে ওই শিক্ষার্থীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত শিক্ষক রামনগর ইউনিয়নের বড় খামাতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মকছেদুল ইসলামের ছেলে। তিনি সদর উপজেলার চাঁদের হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই বছর আগে মনিরুজ্জামান বাবুর কাছে প্রাইভেট পড়ার সময় ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ছাত্রী বাবুকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। পরে উপায় না পেয়ে ওই ছাত্রী শিক্ষক বাবুর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে শনিবার থেকে অনশন শুরু করে।
অনশনরত ছাত্রী বলেন, সে আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। এখন বিয়ের করার কথা বললে তিনি টালবাহানা করেন। আমাকে বিয়ে না করলে নিজেকে শেষ করে ফেলব। আমি কাল থেকে কোনো কিছ মুখে দেইনি। সে আমাকে যতক্ষণ বিয়ে করবে না, আমি না খেয়ে থাকব।
পলাতক থাকায় এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান বাবুর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি।
তবে অনশনরত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
চাঁদের হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, মেয়ের বাবা মামলা করলে বা কোনো প্রকার লিখিত অভিযোগ করলে বিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত থেকে মেয়েটি বিয়ের দাবিতে প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান করছে। সে তার দাবিতে অনড়। অথচ মেয়েটির বয়স অনুযায়ী সে এখনো বিয়ের যোগ্য নয়। তাই উভয় পরিবারকে সমঝোতার মাধ্যমে মীমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে।
