১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৪৩:২৭ পূর্বাহ্ন


করোনা নিয়ন্ত্রণে ৭ সিদ্ধান্ত
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১২-২০২২
করোনা নিয়ন্ত্রণে ৭ সিদ্ধান্ত


করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি সভা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত সোমবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সাত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের সব স্থানে আইসোলেনশন সেন্টার ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলো চালু করা, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও ইউনিট প্রস্তুত করা এবং আইসিইউগুলোকে পুনরায় কোভিড রোগীদের সেবা প্রদানের প্রস্তুত রাখা।

সভার শুরুতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাইকে অবগত করেন। এ সময় তিনি জানান, ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭ অত্যন্ত সংক্রামক। এ উপধরনের কারণে দেশে সংক্রমণ বেড়েছে। এ বিষয়ে কোভিড-১৯বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৬১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্তগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ এড়াতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ৭টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-১. দেশের জনগোষ্ঠীদের সুরক্ষায় সব নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ২. আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এ ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল, জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাপারে হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। প্রতিটি জেলার পয়েন্টস অব এন্ট্রিতে স্থাপিত ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যান্সার ও ইনফ্রা রেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার কার্যকর রাখতে হবে। ৩. নৌ, স্থল ও বিমান বন্দরসমূহে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে রিস্ক কম্যুনিকেশন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌবন্দর এবং বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহয়তায় এ


বিষয়ে স্বাস্থ্যবার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। ৪. দেশের সব স্থানে আইসোলেশন সেন্টার ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলো চালু করার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। ৫. ইতোমধ্যে আইইডিসিআর শনাক্তকৃত কোর্সগুলোর জিনোম সিকোয়েন্সিং শুরু করেছে। এতে উল্লিখিত ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলে নমুনা আইইডিসিআর-এ পাঠাতে সব ইইএইচএফপিও ও সিভিল সার্জনদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ৬. কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালগুলো প্রয়োজনবোধে ডেডিকেটেড ইউনিট প্রস্তুত করা এবং কোভিডের চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। বিশেষ করে ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা প্রদান ও আইসিইউগুলোকে পুনরয় কোভিড রোগীদের সেবা প্রদানের প্রস্তুত রাখতে হবে। ৭. এ ছাড়া নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যবস্থা নিতে হবে।