০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ০৩:৩২:৪০ অপরাহ্ন


তাহিরপুরের দুই সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা পাচাঁর: দেখার কেউ নাই
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১২-২০২২
তাহিরপুরের দুই সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি  দিয়ে কয়লা পাচাঁর: দেখার কেউ নাই তাহিরপুরের দুই সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা পাচাঁর: দেখার কেউ নাই


সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট সীমান্ত পথে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা দাপটের সাথে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে নিয়ে জানা গেছে- জেলার তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া শুল্কস্টেশন সংলগ্ন টেকেরঘাট ও বালিয়ঘাট সীমান্তের লালঘাট, লাকমা, চুনাপাথর খনিপ্রকল্প, বরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্লাষ্টিকের বস্তা ভর্তি করে শতশত মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে প্রথমে বসতবাড়ির ভিতরে মজুত করে রাখে চোরাকারবারীরা। পরে রাত গভীর হলে পাচাঁরকৃত সেই অবৈধ কয়লা ঠেলাগাড়ি বোঝাই করে বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে বিক্রি করা হয়। এরপর টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের পিছনে অবস্থিত নদীতে অবৈধ কয়লা ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে এবং বালিয়াঘাট ক্যাম্পের সামনে দিয়ে পাটলাই নদীতে ডুকে। তারপর নদীপথে শ্রীপুর-সোলেমানপর এলাকা হয়ে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে ১৭০টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধানকারী ৮টি মামলার আসামী ইয়াবা কালাম মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, ইদ্রিস আলী ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়াগং। এসব সোর্স পরিচয়ধারীদের নেতৃত্বে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে ভারত থেকে শতশত মেঃটন চোরাই কয়লা পাঁচার করে দাপটের সাথে ওপেন বিক্রি করা হলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়- তাহিরপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ তরফদার থাকাকালীন সময় পাটলাই নদী, লাকম, টেকেরঘাট ও দুধেরআউটা গ্রামে একাধিক অভিযান চালিয়ে সোর্স ইয়াবা কালাম, জিয়াউর রহমান জিয়া, চোরাকারবারী রতন মহলদার, মানিক মহলদার ও লেংড়া বাবুলসহ তাদের সিন্ডিকেডের বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য, কয়লা ও নৌকা আটক করাসহ থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও সুনামগঞ্জ থেকে র‌্যাব এসে অভিযান চালিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র, মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। পরে সোর্স ও চোরাকারবারীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আবার তাদের অবৈধ কাজ পুরো দমে শুরু করে। তাই তাহিরপুর সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করার জন্য র‌্যাব ও পুলিশ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বৈধ কয়লা ব্যবসায়ী ও সচেতন এলাকাবাসী। 

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি কামাল হোসেন রাফি বলেন-সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে এই বিকাশ ০১৭১০-৪২১৭৪২ নাম্বারে চাঁদা নেওয়াসহ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সোর্সদের কয়লা পাচাঁরের ব্যাপারে টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বিজিবি কমান্ডারদের বারবার জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।