২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৬:৩৯:২৯ অপরাহ্ন


এক বছরের মধ্যে ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১২-২০২২
এক বছরের মধ্যে ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হবে এক বছরের মধ্যে ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হবে


‘বর্তমানে দেশের ১২ কোটি মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে দেশে ১ লাখ ১০ হাজার গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড কানেকশনের আওতায় আসবে। এর মধ্যে ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেয়া হবে এই সংযোগ।’

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(রুয়েট)-এর তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘চতুর্থ ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-আইসিইসিটিই-২০২২’ বিষয়ক আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। 

তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ম-ল-এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকর্ণ কুমার ঘোষ। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্য দেন- রুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই)-এর বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদ-উজ-জামান, অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

সম্মেলনে আরোও উপস্থিত ছিলেন রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন সহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, দপ্তর, বিভাগ, শাখা প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আগামী ২০৩৫ সালের পর পরই আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় খাত হবে আইসিটি সেক্টর, যেটি গার্মেন্টস সেক্টরকেও অতিক্রম করবে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ আইসিটি সেক্টরে এখন কাজ করে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে এটি হবে ৫০ লাখ। এছাড়া আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় এক কোটি মানুষ আইসিটি সেক্টরে কাজ করবে। বক্তারা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের ১ লাখ ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম এবং ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলাতে হতে যাচ্ছে শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউশন। এছাড়া হবে জয় ডিসেন্ট সেন্টার। যেখানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আধুনিক সব প্রযুক্তি শেখানো হবে। ইতোমধ্যেই দেশে ১০টি হাইটেক পার্কের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ৭ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা প্রায় ১০০ তে উন্নীত হবে। হাইটেক পার্কের উদ্যোগে রুয়েটে একটি ইনোভেশন হাব এর কাজ চলমান রয়েছে। 

বক্তারা আরও বলেন, রুয়েট আন্তর্জাতিক এই সেমিনারের মাধ্যমে গবেষণা ও উন্নয়নে বড় একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও গবেষকরা আরো বেশি গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হবে এবং এর মধ্য দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে ইনোভেটিভ রিসার্চ অরিয়েন্ট করে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের দেশের ১২ কোটি মানুষের বয়স ২৫ এর নিচে। আমরা তাদের সাপোর্ট চাই। ভবিষ্যতে গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলোতে দেশের তরুণ প্রজন্ম নেতৃত্ব দিবে বলে সম্মেলনের বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪৬৫ জন গবেষক, শিক্ষক, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে ৬৯টি টেকনিক্যাল পেপার ও ৬ টি কী-নোট পেপার উপস্থাপন করা হবে। এছাড়াও ৪টি ইনভাইটেড টক, একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সেরা ৩টি পেপারকে সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হবে। সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর সীমান্ত অবকাশে অনুষ্ঠিত হবে।