২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:০১:৩৩ পূর্বাহ্ন


আসামী গ্রেফতার করেও অস্বীকার পুলিশের, গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপে স্বীকার
বাগমারা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০১-২০২৩
আসামী গ্রেফতার করেও অস্বীকার পুলিশের, গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপে স্বীকার ফাইল ফটো


রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা কোনাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার দুলুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করার ঘটনায় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে বাগমারা থানা পুলিশ । তবে সাংবাদিকদের কাছে গ্রেফতারের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেছে পুলিশ।
তবে পরবর্তীতে গোয়েন্দা সংস্থার চাপের মুখে আসামীদের নাম ঠিকানা দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। তবে আসামীদের ছবি দেয়নি।
গ্রেফতারকৃতরা হলে, আনিছার (৫০) পিতা- মোহাম্মাদ আলী, আলাউদ্দিন (১৭)পিতা- আনিছার, আবুল কালাম আজাদ (৪২) পিতা- আহাদ আলী,জামাল (৩৪)। জাহাঙ্গীর আলম (৪২) পিতা- মৃত ফিরোজ আলী, সর্ব সাং কোনাবাড়িয়া। 
এজাহার মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাগমারা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। 

গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সাত্তার দুলুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করার ঘটনায় এজাহার ভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

বাগমারা থানার ওসি তদন্ত মো. তৌহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুস সাত্তারকে যারা গুরুত্বর জখম করেছে তাদেরই কয়েকজন আহত না হয়েও বাগমারা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি হয়েছিলো। আমরা বুঝতে পেরে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ২জনকে আটক করি।পরে একজন এজাহার ভুক্ত আসামি পালাতে গিয়ে এলাকার মানুষের হাতে ধরা পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে আর ২জন কে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বাঁকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান। 

প্রথমে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে রহস্যজনক ভাবে তিনি  আসামীদের গ্রেফতার করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি একটু অসুস্থ আপনারা ভাগনদি তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করুন।
এ ব্যাপারে ভাগনদি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, আমার জানামতে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। 
পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা বাগমারা থানায় গিয়ে জানতে পারেন ঐ ৫ আসামীকে বাগমারা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।