২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০২:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন


পুঠিয়ায় আ’লীগ নেতার চুক্তিতে ফসলি জমি কেটে হচ্ছে পুকুর
আরিফুল (রুবেল) স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০১-২০২৩
পুঠিয়ায় আ’লীগ নেতার চুক্তিতে ফসলি জমি কেটে হচ্ছে পুকুর পুঠিয়ায় আ’লীগ নেতার চুক্তিতে ফসলি জমি কেটে হচ্ছে পুকুর


রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুলিশ প্রশাসনের সাথে বিশেষ সমঝোতায় রাতের আধাঁরে পুকুর খনন চলছে। আর খননকৃত পুকুরের মাটি বহণকারী ট্যাক্টরের কারণে গ্রামীণ সড়ক গুলো ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর খনন করতে জমির মালিকরা ক্ষমতাসিন দলের সাবেক একজন আ’লীগ ও ছাত্রলীগ নেতার সাথে চুক্তি করছেন। আর ওই দুই নেতা পুলিশ প্রশাসনের সাথে সমঝোতায় পুকুর খনন কাজ চলে।

স্থানীয়দের তথ্যমতে জানা গেছে সম্প্রতি উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের গাইনপাড়ায় একই স্থানে ৬টি ও কার্তিকপাড়ার কাছে পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্তে দুটি পুকুর খনন কাজ চলছে। আর পুকুর গুলো খনন করছেন ফারুক হোসেন নামের একজন ঠিকাদার।

জিউপাড়া এলাকার চাষি শাহাবাজ উদ্দীন বলেন, কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি গাইনপাড়ায় গ্রামে একই স্থানে প্রায় ৮০ বিঘা ফসলি জমিতে ৬টি পুকুর খনন করছে। আর পুকুর খননের মাটি গুলো ১২/১৪ টি ট্যাক্ট্রর বহণ করছে। আর ট্র্যাক্টর গুলো মাত্রাতিরিক্ত মাটি বহণের কারনে গ্রামীণ সড়ক গুলো জরার্জীন্ন হয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি। তবে রহস্যজনক কারণে কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।

তাহের আলী নামের অপর একজন চাষি বলেন, পুকুর খনন রোধে স্থানীয় লোকজন গত ৩ জানুয়ারী থানায় অবহিত করেন। পরে সেখানে কয়েকজন পুলিশ গিয়ে খননকারী ঠিকাদারকে ধরে আনেন। কিন্তু পথে সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠু পুঠিয়া শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে পুলিশের সাথে চুক্তি করে ওই ঠিকাদারকে ছাড়িয়ে নেয়। এরপর প্রতিরাতেই চলছে পুকুর খনন কাজ।

পুকুর খননকারী ঠিকাদার ফারুক হোসেন বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের সাথে চুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি পুকুর খনন করা হয়। আর যারা চুক্তিতে যায় না তাদের জেল-জরিমানা গুনতে হয়।

এবিষয়ে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠু বলেন, আমি কোনো পুকুর খননের সাথে জড়িত নেই। শুনেছি একটি স্থানে পুরনো পুকুর নাকি খনন হচ্ছে।

অপরদিকে সাবেক রাজশাহী জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ বলেন, শুনেছি ফারুক নামের একটি ছেলে পুকুর খনন করছে। আমাকে জড়িয়ে একটি চক্র মিথ্যা প্রচারণা করছে। আমি এসকল বিষয়ে কিছুই জানি না।

তবে বিশেষ সসমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করে থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, গত দুইদিন আগে পুলিশ একটি পুকুর খনন বন্ধ করতে গিয়েছিল। পরে তাদের খননের অনুমোদন থাকায় ফিরে এসেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছেন। যেখানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন হবে সেখানেই জেল জরিমানা দেয়া হচ্ছে। #