২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৬:২০:১৩ অপরাহ্ন


তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ
স্টাফ রিপোটার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০১-২০২৩
তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ ফাইল ফটো


চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসের জন্য নতুন মুদ্রানীতি আজ ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন খাতে তারল্য সরবরাহ বাড়ানো ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনা মহামারির আগে ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা হতো। কিন্তু করোনার কারণে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতি এক বছরের জন্য করা হয়। তবে এবার আগের মতো বছরে দুই বার মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ঋণের প্রবৃদ্ধির তুলনায় আমানতের প্রবৃদ্ধি অনেক কমে গেছে। গত বছরের অক্টোবরে ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৫ এবং একই সময় ব্যাংকঋণ বেড়েছে ১৪ শতাংশ। এর ফলে দেশের ব্যাংকগুলোতে ব্যাপক তারল্যসংকট তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত তারল্য মাত্র তিন মাসে ৩৩ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। 

সাধারণত মুদ্রার গতিবিধি প্রক্ষেপণ করে এই মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতির অন্যতম কাজগুলো হলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করা, ঋণ প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ঋণের জোগান ধার্য করা এবং মুদ্রার প্রচলন নিয়ন্ত্রণ করা। এদিকে নতুন মুদ্রানীতি আসার আগেই তিন বার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে রেপো সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে রেপো সুদহার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। রেপো সুদহার বাড়ানোর ফলে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে বেশি সুদ গুনতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মূলত টাকার প্রবাহ কমাতে, যাতে ব্যাংকগুলো বেশি সুদের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কম টাকা ধার করে, এটাই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ।

এদিকে গত ২০ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল হয়েছে। সেখানে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন মুদ্রানীতিতে বিষয়টি তুলে ধরা হবে।