২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৮:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন


উখিয়ায় ছিনতাই করতে গিয়ে জনতার হাতে পুলিশ সদস্য আটক
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০২-২০২২
উখিয়ায় ছিনতাই করতে গিয়ে জনতার হাতে পুলিশ সদস্য আটক উখিয়ায় ছিনতাই করতে গিয়ে জনতার হাতে পুলিশ সদস্য আটক


কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকায় মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে নিরঞ্জন দাশ (২৪) নামের এক এপিবিএন পুলিশ সদস্য।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক।

ইউনিয়ন পরিষদ ভবন রোডের পেছন থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানে কনস্টেবল পদে কর্মরত।

এ সময় নিরঞ্জন দাশের শার্টের পকেটে একটি ছুরি পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার কাছে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি পুলিশি পরিচয়পত্র ও একটি মানিব্যাগ পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকালে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন রোডের পেছনের গলিতে একটি সিএনজিতে আসেন নিরঞ্জন দাশ। ওই চিপা গলিতে ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প হাকিমপাড়ার এক রোহিঙ্গা যুবকের কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার চেষ্টা করা হয়। তাৎক্ষণিক রোহিঙ্গা যুবকটি আশপাশের স্থানীয় সচেতন কয়েকজনকে ডেকে এনে বিষয়টি বোঝান। সঙ্গে সঙ্গে ওই পুলিশের আচরণ সন্দেহজনক হলে মানুষজন তাকে আটক করেন। এ সময় ভিড় লেগে যায়।

কয়েকজন রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, নিরঞ্জন দাশ পুলিশ পরিচয়ে এর আগেও বহু মানুষের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই করেছে। উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে তিনি মোবাইল ছিনতাই করে থাকেন।

আটকের পর এ সময় কনস্টেবল নিরঞ্জন দাশের বিরুদ্ধে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার অনেক ভুক্তভোগী ঘটনাস্থলে ভিড় করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে দেখা গেছে।

উখিয়ায় কর্মরত এপিবিএন ১৪ পুলিশ সুপার নাঈমুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ঘটনাটি জানতে পেরেছি। নিরঞ্জন দাস ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তাকে দফায় দফায় নোটিশ দিয়েও কর্মস্থলে ফেরানো সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক ছিলেন। খবর পেলাম সে পালংখালীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশার এক যাত্রীর মোবাইল ছিনতাইকালে জনতার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন। তাদের কাছ থেকে ছাড় পেতে পুলিশের কার্ডও দেখান তিনি। পরে তাকে উখিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।

রাজশাহীর সময় / এফ কে