এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) তাদের আর্থিক বণ্টন মডেলে পরিবর্তন এনেছে এবং তাতে আফগানিস্তান ক্রিকেটের লভ্যাংশ বাড়ছে।
আফগানিস্তান ২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পায়। তারপরও ২০১৮ এবং ২০২২ সালে সবশেষ দুটি এশিয়া কাপ থেকে তারা পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম লভ্যাংশ পেয়েছিল। বাকিরা পেয়েছে সমান।
তবে এখন থেকে আফগানিস্তানও এশিয়ার অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মতোই লভ্যাংশ পাবে। তাদের লভ্যাংশ ৬ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে।
সেক্ষেত্রে আইসিসির পূর্ণ সদস্য বাকি চার দেশ-বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার লভ্যাংশ কমবে। তারাও আফগানিস্তানের মতো ১৫ শতাংশ করে পাবে। বাকি অংশ বণ্টন হবে সহযোগী ও সংশ্লিষ্ট সদস্যদের মধ্যে।
বাহরাইনে সম্প্রতি এসিসির সভায় এই আর্থিক বণ্টন মডেল সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। আফগানিস্তান ক্রিকেটের জন্য এর চেয়ে বড় সুখবর বোধ হয় হতে পারতো না। আফগানিস্তানে এখন আর্থিক সংকট চরমে।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাদের স্টাফদের বেতন নিয়মিত দিতে পারছে না। আর্থিক সংকটে ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশটির।
এসিসি আর্থিকভাবে সুবিধা দেওয়ার পর আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষীয় সিরিজও বাড়বে বলে আশাবাদী তারা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া তাদের বিপক্ষে সিরিজ বাতিল করলেও পাকিস্তান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে তারা খেলবে।