২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন


ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ২১ হাজার পার!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০২-২০২৩
ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ২১ হাজার পার! ছবি: সংগৃহীত


বেড়েই চলেছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা! দুই দেশ যেন পরিণত হয়েছে শ্মশানে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কবলে পড়া দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পার করেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে সেই দু’দেশের প্রশাসন। আহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় ৪০ হাজার।

ভেঙে পড়া বাড়িগুলির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার হচ্ছে কেবল মৃতদেহ। মৃতের পাহাড় জমছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে। চারিদিকে শুধু কান্নার রব আর খাবারের জন্য আর্তনাদ। এরই মধ্যে তীব্র ঠান্ডা এবং শৈতপ্রবাহের কারণে বাধা পড়ছে উদ্ধারকাজেও। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে উদ্ধারকারী দল সিরিয়ার সরকার-বিরোধী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে উদ্ধার নামলেও বিশেষ লাভ হয়নি। বিপর্যয় মোকাবিলার নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল তুরস্ক সরকার। উদ্ধারকাজে সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্টও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এখনও যাঁরা ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন, খাবার এবং পানীয় জলের অভাবে তাঁদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।

পাশাপাশি তুরস্ক এবং সিরিয়া— উভয় দেশেই উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ বণ্টন নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বহু সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দেশ থেকে বিধ্বস্ত দুই দেশের জন্য সাহায্য এবং ত্রাণ পাঠানো শুরু হয়েছে। ভারতের তরফেও ইতিমধ্যেই চিকিৎসক এবং ত্রাণ নিয়ে একটি দল তুরস্কে পৌঁছেছে। কিন্তু বহু এলাকায় রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা ব্যাপক ভাবে বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছতে পারছেন না। পৌঁছচ্ছে না ত্রাণও। ফলে এলাকায় এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তীব্র ঠান্ডাতেও কোনও রকমে দিন গুজরান করতে হচ্ছে রাস্তাতেই। মিলছে না পর্যাপ্ত খাবার। ভূমিকম্পে বেঁচে গিয়েও উপযুক্ত খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে প্রাণ সংশয় তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ ভূমিকম্প বিধ্বস্তদের।

সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টে নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। এর পর থেকে অন্তত শতাধিক বার কেঁপে উঠেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। ফলে আরও বিপন্ন হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন।