১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:০৭:০৭ অপরাহ্ন


জনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সাহেব বাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মানববন্ধন
মাসুদ রানা রাব্বানী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০২-২০২৩
জনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সাহেব বাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মানববন্ধন জনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সাহেব বাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মানববন্ধন


রাজশাহী মহানগরীতে শফিকুল ইসলাম জনির হত্যাকারীদের দ্রুতবিচার ট্রাই-বোনালের আওতায় এনে বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাহেব বাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। 

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টায় সাহেব বাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারী সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ও কাপড়পট্টির সামনের রাস্তায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রায় ৫শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে, নগরীর সাহেব বাজার কাপড় পট্টি’র সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রেসক্লাব চত্বর সেন্ডেল পট্টি হয়ে ভুবন মোহন পার্কে গিয়ে শেষ হয়।

মামলার আসামী ভূমিদস্যু মওলা বাবু ও তার ভাই শাহিন এবং তার সহযোগী কিশোর, প্রসেনজিৎ ও শ্যামলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাহেব বাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী মালিক সমিতি’র সভাপতি অশোক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামীম আলম। বস্ত্র কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু, সহ-সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান হোসেন সেকেন্দার, সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার সাহা, নিহত শফিকুল ইসলাম জনির পিতা সিরাজুল ইসলাম-সহ ৫শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এয়াড়া উপস্থিত ছিলেন পাদুকা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপিত মোঃ শফিকুর রহমান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছোটন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাহেব বাজার বস্ত্র মার্কেটের, মঞ্জুর কাপড়ের দোকানের কর্মচারী শফিকুল ইসলাম জনির হত্যাকারী প্রধান আসামি ভূমিদস্যু তৌফিকুর রহমান মাওলা বাবু ও তার ভাই শাহিন এবং সহযোগী কিশোর, প্রসেনজিৎ ও শ্যামল মিলে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে শফিকুল ইসলাম জনিকে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হলেও হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করছে না রাজপাড়া থানা পুলিশ।

অনতিবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তারা। নিহতের পরিবারের দাবি, আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারী দেন তাঁরা।