২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৬:২৭:৪৪ অপরাহ্ন


মাসব্যাপী বই মেলার ঘোষনা : হাঁপ ছেড়েছেন প্রকাশকরা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০২-২০২২
মাসব্যাপী বই মেলার ঘোষনা : হাঁপ ছেড়েছেন প্রকাশকরা মাসব্যাপী বই মেলা : হাঁপ ছেড়েছেন প্রকাশকরা


এবারের বইমেলার প্রথম দিনটি অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই অগোছালো ছিল। এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার হয়ে গেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে প্রকাশকদের দাবি বিবেচনায় এনে পরিস্থিতি সাপেক্ষে মাসব্যাপী মেলা হবে বলে জানিয়েছেন। এ ঘোষণায় অনেকটা হাঁপ ছেড়েছেন প্রকাশকরা।

করোনার কারণে এবার অমর একুশে বইমেলা শুরু করা নিয়েই অনিশ্চয়তা ছিল। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দুই সপ্তাহের মেলার অনুমোদন দেন। এবার মেলার অবকাঠামো নির্মাণের আগাম প্রস্তুতির জন্য একাডেমির হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল না। তড়িঘড়ি করে একাডেমির প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়।

গত সন্ধ্যায় উদ্যান অংশের মেলার পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও উপপরিচালক শাহাদাৎ হোসেন।

মেলার মেয়াদ সম্পর্কে বাংলা একাডেমির তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ভাষণে মাসব্যাপী মেলার কথা বলেছেন। তবে সেটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে এবং মেয়াদের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি।

তিনি আরও জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ। সেই দিন পর্যন্ত মেলা চলতে পারে। তাহলে অবশ্য এক মাসের চেয়ে একটু বেশি হয়ে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মেলা পরিচালনা কমিটির সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও মেয়াদ বাড়ছে, এ নিয়ে প্রকাশকেরা মোটামুটি নিশ্চিত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, অনেক স্টলের কাঠামো তৈরির কাজই এখনো পুরো শেষ হয়নি। ভেতরে–বাইরে রং করা, র‌্যাক তৈরি করা এসব কাজ চলছে। উদ্যানে মেলায় প্রায় ছয় লাখ বর্গফুটের বিশাল পরিসর। মাঠে নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আর চলাচলের পথ তৈরির কাজও শেষ হয়নি।

তবে প্রকাশকরা বলছেন, মেলার মেয়াদ বাড়ার খবরে এবার নতুন উদ্যমে সবাই কাজ শুরু করবেন।

এদিকে, প্রথম দিনে প্রকাশকের প্রস্তুতি না থাকলেও গ্রন্থানুরাগী নগরবাসীদের সমাগম হয়েছিল মেলায়। আগের দিনের পয়লা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসের রেশ দেখা গেছে সেখানে। বাসন্তী-লাল শাড়ি, পাঞ্জাবি আর ফুলের মালায় সাজসজ্জা করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এসেছিলেন প্রাণের মেলায়।

বই বিক্রির বিষয়ে প্রথম দিন হিসেবে সন্তুষ্ট প্রকাশকরা। দেখা গেছে, ক্রেতারা নতুন, পুরোনো বই হাতে তুলে দেখছিলেন।

রাজশাহীর সময় / এফ কে