২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:৩১:৪৯ অপরাহ্ন


প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া ভিডিও কল করে আত্মহত্যা করলো স্কুলছাত্রী
নৌসিম তাবাস্সুম ঝিলিক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০২-২০২৩
প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া ভিডিও কল করে আত্মহত্যা করলো স্কুলছাত্রী প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া ভিডিও কল করে আত্মহত্যা করলো স্কুলছাত্রী


প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে তাকে ভিডিও কল করে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ।

সোনারপুর থানা এলাকার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৯ ওয়ার্ডের কামরাবাদ ভৌমিক পার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত ছাত্রী কামরাবাদ গার্লস স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। তারই প্রতিবেশী এক ছাত্রের সঙ্গে গত ৩ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল ওই ছাত্রীর। ওই ছাত্র কামরাবাদ বয়েজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সূত্রের খবর, প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল ওই ছাত্র। সে কথা জানতে পেরে নিজেকে পুরো বিষয়টি থেকে সরিয়ে নিয়েছিল ওই ছাত্রী। কিন্তু ফের তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রেমিক। আবার সম্পর্ক শুরু হয় দুজনের।

তবে গত কয়েকদিন ধরেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল বলে জানা গেছে। শনিবার সকালেও দুজনের মধ্যে প্রবল অশান্তি হয়। ঝামেলা মেটাতে প্রেমিকার বাড়িতে চলে আসে প্রেমিক। কিন্তু তারপরেও সমস্যা মেটেনি। ওই ছাত্র নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর আবার ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে। সেই সময় ওই ছাত্রীর বাবা-মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। দুজনেই কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন শুরু ছাত্রীর ঠাকুমা। ফোনে ঝামেলার পর বাইরের গ্রিল গেটে তালা লাগিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় ওই ছাত্রী। তারপর ভিডিও কল করে প্রেমিককে। সেই অবস্থাতেই গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই পড়ুয়ার প্রেমিকের দিদি তার এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রীর বাড়িতে চলে আসে। গ্রিল দিয়ে উঁকি মেরে ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন তাঁরা। সকলে মিলে গ্রিল ভেঙে নামিয়ে আনেন ওই ছাত্রীকে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রেমিকার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই পলাতক ওয়েব ছাত্র ও তার পরিবারের লোকজন। ঘটনায় প্রেমিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতা ছাত্রীর বাবা। ওই ছাত্রের কঠিন শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি। ছাত্রীর মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।