নিজে ভালো থাকুন অন্যকেও ভালো রাখুন। নিজের উপর বিশ্বাস থাকলে এইটুকু করা সম্ভব। জীবন মানেই সমস্যা, তাই বলে নিরাশ হয়ে পড়লে কখনই কোন সমস্যা দূর হবে না। বরং এতে নিজের ক্ষতি ছাড়াও পাশের জনেরও ক্ষতি হবে। তাই সবসময় ইতিবাচক ভাবনা-চিন্তা করা প্রয়োজন এতে জীবনও ইতিবাচক বা সহজ হবে। ভালো থাকতে পারবেন।
কিছু বিশেষজ্ঞরা নিজের পাশাপাশি অন্যকেও ভাল রাখার কিছু টিপস দিয়েছেন-
তৃপ্ত থাকুন: আপনি জীবনে যা পেয়েছেন, যতটুকু পেয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। দেখা যায়, এমন কেউ আছে যার এতটুকুও জোটেনি। সেটা অর্থই হোক কিংবা মা-বাবা/আত্মীয়স্বজন সান্নিধ্যই হোক কিংবা মাথার উপর ছাদই হোক অথবা দৃষ্টি-শ্রবণের ক্ষমতা থেকে বাক-শক্তি। তাই যা আছে, যা চলছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। নানান কাজের ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও সময় বের করে নিয়ে পরিজনদের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। না পারলে চিঠি লিখুন। এতে আপনিও ভালো থাকবেন, তারাও ভালো থাকবে।
প্লাস পয়েন্ট মনে রাখুন: নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে ভালোভাবে পরিচিত নন, এমন মানুষের সংখ্যা এ পৃথিবীতে নেহায়েত কম নয়। এই তালিকায় আপনি নিশ্চয়ই পড়তে চান না। ব্রিটেনের একটি সমীক্ষার ফল জানিয়েছে, পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের মাত্র এক-তৃতীয়াংশই নিজেদের শক্তি সম্পর্কে ভালোভাবে পরিচিত নন। এখন যদি আপনিও এই তালিকায় পড়েন, তাহলে ভেঙে পড়বেন না। আপনার ‘প্লাস পয়েন্ট’কী কী, সেটা আপনাকেই জানতে হবে। তাহলেই তো, তার সদ্ব্যবহার করে লাভবান হতে পারবেন। এছাড়া ভালবাসা, প্রাণোচ্ছলতা, উৎসাহ এ সবেরই প্লাস পয়েন্টের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
মুহূর্তে বাঁচুন: ছোট ছোট মুহূর্ত জীবনে বড় ফারাক গড়ে দেয়। তাই আনন্দের মুহূর্ত, বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করুন। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হল, উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্য থেকে আনন্দ খুজে নেওয়া। কোনও একটা বিয়েবাড়ি, গেট-টুগেদার, জন্মদিনের পার্টি বা নিদেনপক্ষে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ছোট্ট একটা মজলিশে উপস্থিত থাকতে পারলেই দেখবেন, মন অনেকটা ভাল হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদেরও ভালো লাগার কাজ করবে।
আরও একটা কথা। বিশেষজ্ঞদের মত হল, একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে, অনেকগুলো বিষয়ে মন দিলে নিজের আনন্দ খুঁজে বের করার জন্য সময় আর পাবেন না। যেমন- প্রাতরাশের টেবিলে হাতে খবরের কাগজ নিয়ে রেডিও শুনলে, গানের মাধুরী বা সকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য কোনটাই উপভোগ করতে পারবেন না। আবার পোষ্যকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে মনে মনে কাল কী কী করবেন, ভাবতে থাকলে প্রিয়জনটির সান্নিধ্য উপভোগ বা কাজ থেকে একটু বিশ্রাম বা বিরতি নেওয়া কোনটাই হবে না।