১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৪১:০৮ অপরাহ্ন


অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: রাতে স্থগিত হওয়া উদ্ধার কাজ শুরু হচ্ছে সকালে
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২৩
অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: রাতে স্থগিত হওয়া উদ্ধার কাজ শুরু হচ্ছে সকালে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: রাতে স্থগিত হওয়া উদ্ধার কাজ শুরু হচ্ছে সকালে


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৬ মরদেহ। আহত ৩০ জনের বেশি। দগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফয়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত আটটার পর প্ল্যান্টে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। যা আবার শুরু হচ্ছে রোববার সকালে। এদিকে ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠিত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরপরই আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত। বিস্ফোরণের পর লোহার বিভিন্ন খণ্ড উড়ে আধাকিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণে কারও কারও দেহের বিভিন্ন অংশ উড়ে যায়।

প্ল্যান্টে এই বিস্ফোরণ অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার রাতে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার দেখেছি। অনেক সময় সিলিন্ডারগুলো পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্তে তা বোঝা যাবে। তবে সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি।’

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘চমেকে আনা রোগীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত রয়েছে। তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বলেন, ছয়জন মারা গেছে। মৃতদেহ জরুরি বিভাগে আছে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ক্যাজুলয়াটি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। তারা হলেন- মো. নূর হোসেন (৩০), মো. আরাফাত (২২), মোতালেব (৫২), ফেনসি (৩০), মো. জসিম উদ্দিন (৪৫), নারায়ণ (৬০), মো. ফোরকান দাদা (৩৫), শাহরিয়ার (২৬), মো. জাহিদ হাসান (২৬)।

উল্লেখ্য, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক পারভেজ উদ্দিন সান্টু নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার পর তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত বছরের জুনেসীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ যায় অর্ধশতাধিক মানুষের।