২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:০৯:২১ পূর্বাহ্ন


কেমন ছিল বিশ্বের প্রথম পর্ন ছবি?
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২৩
কেমন ছিল বিশ্বের প্রথম পর্ন ছবি? ফাইল ফটো


রাষ্ট্রীয় লাগাম, নিষেধাজ্ঞা, নজরদারি, পর্নোগ্রাফির উপর বার বার রাশ টেনেছে সরকার। কিন্তু এই ধরনের ছবি তৈরি বন্ধ করা যায়নি। কমেনি পর্নোগ্রাফির জনপ্রিয়তাও। নাগরিক সভ্যতার আড়ালে যৌন চাহিদা পরিতৃপ্ত করতে আজও বহু মানুষ নীলছবির পর্দায় চোখ রাখেন।

স্মার্টফোন, আইফোনের যুগে নীলছবি সহজলভ্য। কোথাও টাকা খরচ করে, কোথাও বিনামূল্যে এই ছবি দেখতে পাওয়া যায়। বাজারে অজস্র পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট বিরাজমান। তাদের জনপ্রিয়তাও গগনচুম্বী।

কিন্তু এই পর্নোগ্রাফির সূচনা কোথায়? কবে থেকে ব্যক্তির নিভৃত পরিসরে জায়গা করে নিল নীলছবি? কোথায়, কী ভাবে তার শ্যুটিং হল?

প্রথম সবাক চলচ্চিত্রের কয়েক বছর পরেই পৃথিবীতে পর্নোগ্রাফির সূচনা। প্রথম পর্নোগ্রাফি সিনেমার শুটিং হয় ১৮৯৬ সালে। চলচ্চিত্রের ‘অশ্লীলায়নে’ প্রথম এগিয়ে এসেছিল ফ্রান্স।

ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ইউজিন পিরৌ এবং অ্যালবার্ট কির্চনার চলচ্চিত্রে যৌনতার অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে প্রথম একটি ভিডিয়ো তৈরি করেন। স্বল্প দৈর্ঘ্যের সেই ছবির নাম দেওয়া হয় ‘লে কৌচের দে লা মারি’।

পৃথিবীর প্রথম পর্ন বা অশ্লীল ছবি হিসাবে সাত মিনিটের ‘লে কৌচের দে লা মারি’র পরিচয় পাওয়া যায়। এই ছবিতে এক যুবতীর স্নানদৃশ্যের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। শৌচাগারে গিয়ে ওই যুবতী নিজের শরীর থেকে একের পর এক পোশাক খুলে ফেলছিলেন।

নারী শরীরকে কামোৎসুক দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রকাশ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের এই পন্থা অন্য ফরাসি নির্মাতাদেরও পছন্দ হয়েছিল। তাই ক্রমে পর্দায় সাহসী দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেন তাঁরা।

‘ফতিমাস কুচি কুচি ডান্স’, ‘দ্য বার্থ অফ দ্য পার্ল’-এর মতো ছবিতে এর পর কিছু কিছু সাহসী নারীদেহকেন্দ্রিক দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। ১৮৯৬ সালেই ‘দ্য মে ইরউইন কিস’ ছবিতে ৪৭ সেকেন্ডের একটি ক্লিপে দেখানো হয় প্রথম চুম্বনদৃশ্য।

তবে সে সময় এই সাহসী ছবিগুলি রক্ষণশীল সমাজের কোপে পড়েছিল। রোমান ক্যাথলিক চার্চ ‘দ্য মে ইরউইন কিস’ ছবি থেকে চুম্বনদৃশ্যটি কেটে ফেলার নিদান দেয়। তৎকালীন সমাজে প্রকাশ্যে নারী পুরুষের চুম্বন ছিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ।