রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গোলাম কিবরিয়া নামের এক পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় সদ্য সমাপ্ত যুব গেমস থেকে ফেরা ১২ খেলোয়াড়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামার সময় ঢাকা থেকে যুব গেমস খেলে ফেরা রাজশাহীর কুস্তি দল ওই পুলিশকে মারধর করে ছিনিয়ে নেন তার স্ত্রীর গলার স্বর্ণের চেইন। এতে ওই পুলিশ সদস্যের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় ১৩ খেলোয়াড়ের নামে মামলা করেন। এরপরই প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২ খেলোয়াড়কে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন পাচানীপাঠ এলাকার মৃত আতিকুর রহমানের ছেলে আলী আজম (১৯), চন্দ্রিমা থানাধীন হাজরাপুকুর এলাকার আসাদ আলীর ছেলে আকাশ আলী মোহন (২০), নগরীর জিন্ননগর এলাকার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে আহসান কবীর (৪৫), হাজরাপুকুর এলাকার মুকুল শেখের ছেলে আব্দুল আল জাহিদ (১৬), নিউকলোনী এলাকার হেলালের মেয়ে ফারহানা খন্দকার (১৭), কয়েরডারা এলাকার রহিমের মেয়ে রিমি খানম (১৯), মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এলাকার আ. জলিলের মেয়ে খাদিজা খাতুন (১৭), নগরীর বক্তিয়ারাবাদ এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে পাপিয়া সারোয়ার পূর্ণিমা (১৯), নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার ইসলামের মেয়ে দিপালী (১৯), বড়বনগ্রাম এলাকার কোরবান আলীর মেয়ে সাবরিনা আক্তার (১৯), বড়বনগ্রাম এলাকার শাহীন ইসলামের মেয়ে জেমী আক্তার (১৪) ও শাহমখদুম থানার মোড় এলাকার মমিনুল ব্যাপারীর মেয়ে বৃষ্টি মনি (১৬)। মামলার অপর পলাতক আসামি নগরীর হাজরাপুকুর এলাকার মো. রমজান (১৯)।
কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়া জানান, স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনে রাজশাহী স্টেশনে যান তিনি। ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামা নিয়ে বিরোধে একই ট্রেনের যাত্রী শেখ কামাল দ্বিতীয় যুব গেমসে অংশ নেয়া রাজশাহীর কুস্তি খেলোয়াড়রা তার ওপর হামলা করেন। মারধর করে ছিনিয়ে নেন তার স্ত্রীর গলার স্বর্ণের চেইন। এতে পুলিশ সদস্যের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় ১৩ খেলোয়াড়ের নামে মামলা করেন। পরে পুলিশ প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করে।
গেফতার ১২ জনকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রাতে ৫ খেলোয়াড়কে নারী ও শিশু আদালত-২ এ নিলে বিচারক তাদের একদিনের জামিন মুঞ্জুর করেন। বাকি সাতজনকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এদিকে আদালত থেকে জামিন পাওয়া খেলোয়াড়রা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
যুব গেমসে রাজশাহীর এই খেলোয়াড়রা চারটি স্বর্ণ, চারটি রৌপ্য ও তিনটি ব্রঞ্জ পদক অর্জন করেছেন।