২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন


দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুত্বর আহত কিশোর , চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ রামেক স্টাফের বিরুদ্ধে !
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৩-২০২৩
দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুত্বর আহত কিশোর , চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ রামেক স্টাফের বিরুদ্ধে ! দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুত্বর আহত কিশোর , চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ রামেক স্টাফের বিরুদ্ধে !


রাজশাহী মহানগরীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় মোঃ আবির শেখ (১৬) নামের কিশোর গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এ সময় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) হাসপাতালের (৮নং) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহত আবির মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন পবা নতুন পাড়া এলাকার (গাংপাড়া) সুজন শেখের ছেলে।

আবিরের মা আফরোজা বেগম জানান, শুক্রবার (১০ মার্চ) জুম্মার নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত করতে যায় আবির। সেখান থেকে দুপুর ২টায় বাড়ির গেইেটে পৌঁছা মাত্র একই এলাকার আনোয়ারের ছেলে আলামিন (২২) ও পশ্চিম নওদাঁপাড়া এলাকার মনিরুলের ছেলে সিহাব পেছন থেকে মোটা কাঠ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবিরের মাথায় আঘাত করে। আবির মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পুরো শরীরে খড়ির চলা ও কাঠ দিয়ে এলোপাথাড়ী ভাবে পিটাতে থাকে। এ সময় আবিরের বৃদ্ধা দাদি সোনিয়া বেগম (৭০) আবিরকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে ছিলা ফোলা জখম করে। হৈচৈ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে আবিরের বাবা সুজন ও স্থানীয়রা আবিরকে উদ্ধার করে রামেকের ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। তিনি আরও বলেন, এদিন সকালে ৮/১০ জন মিলে আবিরকে খুঁজে গেছে পায়নি। তাই তারা ওঁৎ পেতে ছিলো।

রামেক (৮ নং  ওয়ার্ডের) কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আবিরের মাথার পেছনে ৩টি ও সামনের ক্ষতস্থানে ৩টি মোট ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে। সিটিস্ক্যান রিপোর্টে মাথায় আঘাতের চিহৃ সনাক্ত হয়েছে। তবে ভাল খবর হলো মাথার ভেতর রক্তক্ষরণ হয়নি। সেটা হলে ক্ষতি হতো।

রামেকে গেলে আবিরের বাবা সুজন জানায়, আবিরকে হামলাকারী সিহাবের মা শিখা। সে আউট সোর্সিং পোষ্ট অপারেটর পদে চাকরি করেন। তিনি ৮নং ওয়ার্ডে এসে আমার হাত থেকে থাবা দিয়ে ভর্তির কাগজ ছিনিয়ে নেয়। একটি সিলিপ ধরিয়ে দিয়ে বলে এই ওষুধগুলি কিনে বাড়ি গিয়ে খাওয়াও। মাথায় সেলাই দিতে হবে না। এ নিয়ে আবিরের বাবার সাথে তার বাগবিদন্ডা শুরু হয়। 

৮নং ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসা কাজে সাহায্য করায়  আমার সাথে খারাপ আচারন করেছেন শিখা। এটা খুব অন্যায়।

বিষয়টি জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানানো হয়। তিনি বলেন, চিকিৎসা কাজে বাঁধা একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটা মেনে নেয়া যায় না। হাসপাতাল পরিচালক স্যারকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পরে শিখার বিরুদ্ধে পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন আবিরের পিতা সুজন শেখ।

এর আগে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহমখদুম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। কিশোর অবিরকে আঘাতের আলামত ও রক্তমাখা কাপড় চোপড় জব্দ করেছে।

জানতে চাইলে, শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেহেদি হাসান জানান, কিশোর অবিরকে উদ্ধার করে রামেকে ভর্তি করেছে তার স্বজনরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের কেউ থানায় মামলা দেয়নি। মামলা হলে অপরাধীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওসি।