২০ মে ২০২৪, সোমবার, ০২:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন


শত্রুতা ভুলে গম্ভীর-আফ্রিদির ‘পুনর্মিলন’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা
ক্রিড়া ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৩-২০২৩
শত্রুতা ভুলে গম্ভীর-আফ্রিদির ‘পুনর্মিলন’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা শত্রুতা ভুলে গম্ভীর-আফ্রিদির ‘পুনর্মিলন’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা


মাঠের মধ্যে দুই যুযুধান দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে বৈরিতা অতি স্বাভাবিক বিষয়। তবে মাঠের বাইরে সচরাচর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের ছবিই চোখে পড়ে। কখনও কখনও দু'দেশের দুই ক্রিকেটারের বন্ধুত্ব রূপকথার মতো মনে হয়। ঠিক যেমন মাঠের বাইরে বিরাট কোহলি ও এবি ডি'ভিলিয়র্সের বন্ধুত্বের কথা ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়।

তবে মাঠের বাইরে দু'দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে শত্রুতার নজির যদি খোঁজা হয়, তবে সবার আগে উঠে আসতে পারে গৌতম গম্ভীর ও শাহিদ আফ্রিদির নাম। শুধু মাঠের মধ্যেই নয়, মাঠের বাইরেও দুই ক্রিকেটারের মধ্যে খটাখটি লেগে থাকে হামেশাই।

ক্রিকেটার জীবনে গম্ভীর ও আফ্রিদি একাধিকবার বাইশগজে ঝামেলায় জড়িয়েছেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বহুবার। তবে শুক্রবার দোহায় দেখা যায় এক অদ্ভুত ছবি। বিশেষ যে মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা, সেই মুহূর্তটিও অবশ্য বিতর্কের বাইরে জায়গা করে নিতে পারেনি।

এবার লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে ইন্ডিয়া মহারাজাস দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গৌতম গম্ভীর। এশিয়া লায়ন্স দলের ক্যাপ্টেন শাহিদ আফ্রিদি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই সম্মুখসমরে নামে দু'দল। সুতরাং টস থেকে শুরু করে মাঠের লড়াইয়ে গম্ভীর ও আফ্রিদিকে একে অপরের মুখোমুখি হতে হয় একাধিকবার। পারস্পরিক ঝামেলা ভুলে গম্ভীর ও আফ্রিদি একসঙ্গে মাঠে নামলেও দুই তারকার ব্যবহারে আর যাই হোক সৌভ্রাতৃত্বের ছোঁয়াটুকুও ছিল না।

টসের সময় সঙ্গত কারণেই দুই ক্রিকেটারকে এক ফ্রেমে দেখা যায়। আফ্রিদি টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন গম্ভীরের দিকে। আফ্রিদির মুখে হাসি থাকলেও গৌতম যথারীতি গম্ভীর মুখে হাত মেলান পাক তারকার সঙ্গে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মিম।

পরে ম্যাচ চলাকালীন একবার রাজ্জাকের বলে গম্ভীরের হেলমেটের গ্রিলে বল লাগলে কুশল সংবাদ নিতে দেখা যায় আফ্রিদিকে। এক্ষত্রে গৌতম অবশ্য মাথা নেড়ে জবাব দিকে কুণ্ঠাবোধ করেননি।

ম্যাচে অবশ্য আফ্রিদির এশিয়া লায়ন্সের কাছে ৯ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে হারতে হয় গম্ভীরের ইন্ডিয়া মহারাজাসকে। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে এশিয়া লায়ন্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান তোলে। মিসবা উল হক ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া মহারাজাস ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে আটকে যায়। গম্ভীর দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫৪ রান করেন।