২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ০৩:৪০:০৪ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীর সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন; রাবি শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান
আল্-মারুফ, রাবি প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৩-২০২৩
রাজশাহীর সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন; রাবি শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান রাজশাহীর সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন; রাবি শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান


রেল লাইনের উপর আগুন জ্বালিয়ে রাজশাহীর সাথে সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চারুকলা গেট সংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা রেল লাইনের কয়েকটি স্লিপারও উপরে ফেলেন।

এরআগে, সন্ধ্যায় প্রক্টরের কফিন পুড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। 

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটকে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ২টার দিকে তারা ফিরে যান। তবে সোয়া ২টার দিকে আবারও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফিরে যান অন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যার দিকে আবারও ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যকে তার বাসভবনে পৌঁছে দেন।

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ৫০০ আসামী করে মামলা দায়ের করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালাম বাদি হয়ে মতিহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে ৫০০ জন। সব আসামী অজ্ঞাত। মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে হামলায় জড়িতদের শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বাসের ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে অবস্থান নেন। সংঘর্ষে আহত হন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।