২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন


ভাইরাল সোহেল মিয়ায় হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোখলেসুর রহমান বকুল
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০২-২০২২
ভাইরাল সোহেল মিয়ায় হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোখলেসুর রহমান বকুল ভাইরাল সোহেল মিয়ায় হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোখলেসুর রহমান বকুল


বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ময়মনসিংহের ভাইরাল সোহেল মিয়া ও প্রতিবন্ধী রওশন দম্পতিকে নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর, তা দেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক নারী সোহেল মিয়াকে তার নিখোঁজ হওয়া স্বামী বলে দাবি করেছেন। ওই নারীর নাম শুরাতন বেগম। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে। এনিয়ে এলাকায় এখন সমালোচনার ঝড় বইছে।

তিনি দাবি করেন, সোহেল মিয়া নাম বলা হলেও তার স্বামীর নাম মোখলেসুর রহমান, ডাক নাম বকুল। একই ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বকুলের সাথে তার বিয়ে হয় ১৯৯২ সালে। এরপর ২০০৪-২০০৫ সালের দিকে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে, তার স্বামী আর ফিরেনি। ওই সময় তিনি খোঁজাখবর করেছিলেন, তবে কোন সন্ধান পাননি। 

শুরাতন বেগম জানান, তার তিন ছেলে এক মেয়ে। ছেলে মেয়েদের নিয়েই তিনি এরপর অনেক কষ্টে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখন আর স্বামীকে ফিরিয়ে নিতে চান না। তবে জানান, সে মিথ্যা কথা বলছে, এটা সবাই জানুক। 

শুরাতন বেগমের বড় ছেলে, সিহাব উদ্দিন জানান, তার বাবাকে ফেসবুক, টিভিতে দেখে চিনতে পেরেছেন। তিনি বলেন এতোদিন জানতাম বাবা নিখোঁজ। কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন উনিই আপনার বাবা?এমন প্রশ্নে সিহাব বলেন নিজের বাবাকে দেখে চিনব না। গ্রামের সবাই চিনতে পেরেছে। 

সিহাব উদ্দীন বলেন, তার বাবা অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে, কিন্ত বলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখলে সত্য বেরিয়ে আসবে।তার আসল নাম মোখলেসুর রহমান বকুল।কিভাবে সোহেল মিয়া হলো আইডি কার্ড কিভাবে করল এ বিষয় গুলো দেখতে বলেন তিনি। 

সিহাব বলেন, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়, ছোট ভাই সোহাগকে নিয়ে একটি চায়ের দোকান চালান তিনি। সেই আয় দিয়ে মাকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। সবার ছোট নিরব অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে। একমাত্র বোনের বিয়ে দিয়েছেন। 

বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর, খোঁজ করেছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন ঢাকায় খুঁজে বের করার মত সামর্থ হয়নি তাদের। 

এখন কি চান?এমন প্রশ্নে জবাবে সিহাব বলেন, আমরা কিছুই চাই না, তবে যে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে, এটাই দেশবাসীকে জানাতে চাই, তাই কথা বলছি। তিনি আমার বাবা, ছেলে হলেও বলতে হচ্ছে তিনি মিথ্যা বলছে, সে সেবা করতে সেখানে যায়নি আসলে সে লুকিয়ে থাকতেই সেখানে গিয়েছে। 

তিনি প্রশ্ন করেন, যার সাথে বিয়ে হয়েছে, তাদের পরিবার কেন একবারের জন্যই আমার বাবার_ বাবা মা বা আত্নীয় স্বজন পরিবারের খোঁজ নেয়নি, তাদের কি একবারও বেড়াতে আসার কথাও মনে হয়নি শ্বশুর বাড়িতে। তাহলেই তো সবকিছু বুঝতে পারত।

রাজশাহীর সময় /এএইচ