১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১২:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন


নেককার বান্দা হওয়ার দোয়া
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৩-২০২৩
নেককার বান্দা হওয়ার দোয়া ফাইল ফটো


মুমিন বান্দাকে যাতে আল্লাহর শাস্তি পেতে না হয়, হাশরের ময়দানে লাঞ্ছিত হতে না হয়, সে জন্য সৎকর্মপরায়ন, নেককার বান্দা হওয়ার বিকল্প নেই। কোরআনুল কারিমে নেককার বান্দা হওয়ার জোরালো আবেদন ওঠে এসেছে। যে দোয়ায় বান্দা হয়ে ওঠবে নেককার ও সৎকর্মপরায়ন। সেই দোয়াটি কী?

رَبَّنَاۤ اِنَّنَا سَمِعۡنَا مُنَادِیًا یُّنَادِیۡ لِلۡاِیۡمَانِ اَنۡ اٰمِنُوۡا بِرَبِّکُمۡ فَاٰمَنَّا رَبَّنَا فَاغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَ کَفِّرۡ عَنَّا سَیِّاٰتِنَا وَ تَوَفَّنَا مَعَ الۡاَبۡرَارِ

উচ্চারণ: ‘রাব্বানা ইন্নানা সামিনা মুনাদিয়া ইউনাদি লিলইমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না, রাবান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যেআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআল আবরার।’

‘হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহ্বানকারীকে আহ্বান করতে শুনে ঈমান গ্রহণ করেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সব গুনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সব দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেককার লোকদের সাথে আমাদের মৃত্যু দাও।’ (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ১৯৩)

আবার তাহাজ্জুদ নামাজে বিশেষ দোয়াও এটি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য রাতে উঠতেন এবং এ আয়াতসহ শেষ পর্যন্ত পড়তেন। তাহাজ্জুদ নামাজে এ দোয়াসহ শেষ পর্যন্ত পড়া সুন্নাত।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)

হাদিসে ঘোষিত দোয়াটি হলো-

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ - رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ - رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ

উচ্চারণ: ‘রাব্বানা মা খালাক্বতা হাজা বাত্বিলাং সুব্‌হানাকা ফাক্বিনা আজাবান্নার। রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন নারা ফাক্বাদ আখঝাইতাহু ওয়া মা লিজজ্বালিমিনা মিন্ আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামিনা মুনাদিয়া ইউনাদি লিল-ঈমানি আন আমিনু বি-রাব্বিকুম ফা-আমান্না, রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফ্‌ফির আন্না সাইয়্যেআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআল আবরার।’

অর্থ :‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহানড়বামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহানড়বামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৯১-১৯৩)

এ আয়াত থেকে সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজে পড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতি আমল।

গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজে দাঁড়িয়ে এ আয়াতের অর্থের প্রতি ধ্যান রাখলেই মানুষের চিন্তা-চেতনায় ফুটে ওঠবে আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অপার রহস্য। যা মানুষকে আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য পাওয়ার দিকে টেনে নিয়ে যায়। ঈমানদারে ঈমানও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয় মুমিন।