১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ০২:৪২:৪২ অপরাহ্ন


সহযোগিতার অভাবে বন্ধ হতে চলেছে ‘ইকরা কোরআন একাডেমী’
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৩-২০২৩
সহযোগিতার অভাবে বন্ধ হতে চলেছে ‘ইকরা কোরআন একাডেমী’ সহযোগিতার অভাবে বন্ধ হতে চলেছে ‘ইকরা কোরআন একাডেমী’


কোরআন শিক্ষা দিতে বেতন নেন না মোসাঃ হাজেরা বেগম। শুধু তাই নয় কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি বিনামূল্যে কোরআন শরিফ দিয়ে থাকেন তিনি।

জানা গেছে, গত ১৪ বছর আগে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসির উদ্দ্যোগে চালু হয়েছিল ‘ইকরা কোরআন একাডেমী’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। গত তিন বছর আগে করোনাকালীন সময়ে ওই প্রবাসি পুনরায় পাড়ি জমায় অষ্ট্রেলিয়ায়। এরপর সহযোগিতার অভাবে ৭৫জন ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষিকা মোসাঃ হাজেরা বেগম। তিনি অভিভাবকদের অনুরোধে আবারও নিজ উদ্দ্যোগে একটি ঘর নিয়ে ইকরা কোরআন একাডেমী প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছেন। স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে কোরআন শিক্ষা দিচ্ছেন শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের। নানা সমস্যায় জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো, পাঠদানের জন্য ঘর ভাড়া দেয়ার সামর্থ নেই তার। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরআন শরিফ ও আমপারা বই নেই। 

রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন বাশার রোডের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে ছোট একটি ঘরে এই কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। ইতোমধ্যেই ঘর ভাড়া দিতে বলেছে বাড়ির মালিক এবং আগামী মাসে তাকে ঘর ছেড়ে দিতে হবে। সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে শিক্ষিকার। কোথায় কীভাবে ৭৫জন শিশু ছাত্র-ছাত্রীকে কোরআন শিক্ষা দেবেন তার কোনো সুরাহা করতে পারছেন না তিনি। 

জানতে চাইলে শিক্ষিকা হাজেরা বেগম জানান, গত ১৪ বছরের প্রতিষ্ঠান ‘ইকরা কোরআন একাডেমী’। এখানে গরিব মানুষের শিশুদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়। মানুষের কাছে কোরআন শরিফ সাহায্য হিসেবে চেয়ে এনে শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের দেই। কয়েকদিন আগে ৩জন শিশু কোরআন ধরেছে। তাদের জন্যও কোরআন সাহায্য চেয়ে এনে দিয়েছি। অনেক আমপারা চটি বই ছিড়ে গেছে। সেই বইগুলিও পর্যাপ্ত পরিমান নাই। তবে নূরানী কোরআন ও আমপারা হলে শিশুদের জন্য ভালো হয়।

তিনি আরও বলেন, যে ঘরে কোরআন শিক্ষা দিচ্ছি। সেই বাড়িওয়ালা ঘরের ভাড়া চাচ্ছে। ঘর ভাড়া দিতে না পারলে ঘর ছেড়ে দিতে বলেছে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য সাহায্য চাইতে গেলে অনেক মানুষ অপমানজনক কথা বলে। ভালো কাজের জন্য কেউ সাহায্য করতে চায় না। তবে আমি আশাবাদী কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি অবশ্যই এই প্রতিষ্ঠানের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন।

শিক্ষিকা হাজেরা বেগম 

মোবা: ০১৭৪৫-৮৭০৩৬০