সাধারণত মেয়েরা বিভিন্ন গোপনে ভয়নক রোগেই জর্জরিত থাকে, কিন্তু তারা সহজে তা কাউকে বলতে চায় না। আর গোপন রোগ বলে লজ্জায় সহজে ডাক্তারের কাছেও যেতে চায় না। সেক্ষেত্রে রোগ কিন্তু আরো দ্বিগুণ হয়, এবং পরবর্তীতে তা ভয়ানক আকার ধারণ করে। তাই আসুন এসব মেয়েলি রোগ সম্পর্কে জেনে নেই এবং সতর্ক হই।
ইউরিন্যারি ট্র্যাক ইনফেকশন: মহিলাদেরই বেশির ভাগ সময়ে ব্লাডারে ইনফেকশন হয়ে থাকে। এর থেকেই ইউটিআই-এর শিকার হন মহিলারা। বেশিদিন এই ইনফেকশন ফেলে রাখলে কিডনিতে পর্যন্ত ইনফেকশন হতে পারে। ইউটিআই-এর উপসর্গ হল- প্রস্রাবের সময়ে জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাবে যাওয়া, তলপেটে ব্যথা ও জ্বর।
মেনস্ট্রুয়াল ইরেগুলারিটি: পিউবার্টি স্টেজ থেকে মেনোপোজ, যে কোনও বয়সেই হতে পারে এই সমস্যা। ঠিক সময়ে ঋতুস্রাব না হওয়া, বা অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হওয়া ইত্যাদি হয়ে থাকে। বেশিদিন এমন চলতে থাকলে পলিসিসটিক ওভারিয়ান ডিজিজ হতে পারে। ঠিকমতো চিকিত্সা না করলে গর্ভাধারণে সমস্যা হয়।
ব্রেস্ট ক্যানসার: একটি সাধারণ রোগ হল মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যানসার। ঋতুচক্র ঠিকঠাক না হলে ব্রেস্ট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ক্যানসার ম্যালিগন্যান্ট হয়ে থাকে।
ডিপ্রেশন: পুরুষদের থেকে মহিলারা বেশি ডিপ্রেশনের শিকার হন। ডিপ্রেশন থেকে সারাদিন ক্লান্তি বোধ করা, মাথার যন্ত্রণা, হজে সমস্যা, অ্যানজাইটি, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি হয়ে থাকে। বিশেষ করে পিউবার্টি ও মেনোপজের সময়ে ডিপ্রেশন বেশি হয়। জিনগত কারণে, স্কুলে ছোটবেলায় মানসিক ভাবে অত্যাচারিত হলে বা ছোটবেলায় যৌন নিগ্রহের শিকার হলে ডিপ্রেশন চলতে থাকে।
পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম: পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে ওজন বেড়ে যায়। শরীরে মেদ জমলে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, বাতের ব্যথা ও হার্টের সমস্যাও হতে পারে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ