২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন


সবচেয়ে বড় হারের লজ্জায় ডুবল ভারত
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৩-২০২৩
সবচেয়ে বড় হারের লজ্জায় ডুবল ভারত ছবি: সংগৃহীত


নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হারের লজ্জায় ডুবল ভারত। বলের হিসাবে তাদের আগের বড় হারটি ছিল নিউজিল্যান্ডের (২১২ বল, ২০১৯ সালে) বিপক্ষে। রোববার (১৮ মার্চ) অজিরা তাদের হারাল ২৩৪ বল হাতে রেখে।

ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়টি ইংল্যান্ডের। ১৯৭৯ সালে কানাডাকে ২৭৭ বল হাতে রেখে হারিয়েছিল তারা। বলের হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় জয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। ২০০৪ সালে মার্কিনিদের ২৫৩ বল হাতে রেখে হারিয়েছিল তারা।

রোববার বিশাখাপট্টনমে শুরুতে ভারতকে ১১৭ রানে অলআউট করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ১১ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে অজিরা। সফরকারীদের হয়ে ট্রাভিস হেড টি-টোয়েন্টি মেজাজে ৩০ বলে ৫১ ও মিচেল মার্শ ৩৬ বলে ৬৬ রান করেন।

এর আগে মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয় ভারত। টস জিতে অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তরুণ ওপেনার শুভমান গিলের উইকেট হারায় ভারত। মাত্র ৩ রানেই তাকে স্মিথের তালুবন্দী করান স্টার্ক। এরপর বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক রোহিত জুটি গড়ার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। দলীয় ৩২ রানে স্টার্কের বলে আউট হন তিনি। পরের বলে অজি পেসার নেন সূর্যকুমার যাদবের উইকেট।

আগের ম্যাচে বিপর্যয়ের সময় সামলে খেলেছিলেন লোকেশ রাহুল। এই ম্যাচেও চেষ্টা করেছেন থিতু হতে। কিন্তু স্টার্কের তোপে সেটা পারেননি। ফিরেছেন এলবিডব্লিউ হয়ে। রাহুলের বিদায়ের পরপরই ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া। দেখেশুনে এগোতে থাকা কোহলিকে ফেরান নাথান এলিস। আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা রবীন্দ্র জাদেজাকেও ফিরিয়েছেন তরুণ এই পেসার। কুলদীপ যাদব আর মোহাম্মদ শামি ফিরেছেন শন অ্যাবটের পরপর দুই বলে। অজিদের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। তিন উইকেট পেয়েছেন শন অ্যাবট আর দুই উইকেট গেছে নাথান এলিসের ঝুলিতে।

২৯ বলে ২৯ রান করে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালু রেখেছিলেন অক্ষর প্যাটেল। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩১ রান এসেছে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। ঘরের মাঠে ভারতের এমন চেহারা সর্বশেষ কবে দেখা গেছে মনে করা কঠিন। ১১৭ রানের স্কোরটি নিজেদের মাটিতে ভারতের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে এটি তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।