পঞ্চমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন রুপার্ট। বয়সের কাঁটা ৯২ ছুঁয়েছে। তাতে অবশ্য প্রেম থেমে থাকেনি। আবারও নতুন করে জীবনটা সাজিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন মিডিয়া সম্রাট।
পাত্রী অ্যান লেসলি স্মিথ একসময় পুলিশের চাকরি করতেন। এখন তাঁর বয়স ৬২ বছর। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে স্মিথের সঙ্গে আলাপ হয় রুপার্টের। প্রথম দেখাতেই প্রেম। অন্যদিকেও প্রেমের হাওয়া খেলেছিল। স্মিথের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে গত ১৪ বছর নিঃসঙ্গ জীবনই কাটিয়েছিলেন স্মিথ। এদিকে রুপার্টও তাঁর চতুর্থ স্ত্রী জেরি হলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে একাই ছিলেন। দুই নিঃসঙ্গ মনের মিল হতে সময় নেয়নি।
সেন্ট প্যাট্রিক দিবসে স্মিথকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রুপার্ট। রাজি হয়ে যান স্মিথও। প্রেম-পর্ব চলছিল এতদিন ধরে। প্রেমিকার সঙ্গে এবার এনগেজমেন্টের ঘোষণা করেছেন রুপার্ট।
মিডিয়া মুঘল বলেছেন, “প্রেমে পড়তে ভয় পেতাম, তবে জানতাম, এটিই শেষবার। আরও ভাল কিছু হতে যাচ্ছে। আমি খুব খুশি। দু’জনের জন্যই এটা ঈশ্বরের উপহার। গত সেপ্টেম্বরে আমাদের দেখা হয়েছিল।’ গ্রীষ্মের শেষে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে।” এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ সাংবাদিক আনা মান এবং চিনা উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংকে বিয়ে করেছিলেন রুপার্ট মার্ডক।
সংবাদ দুনিয়ার সম্রাট রুপার্ট মার্ডক। মিডিয়া ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর নাম বিশ্বজোড়া। তাঁর অধীনে বিশ্বব্যাপী কয়েক’শো পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল রয়েছে। দৈনিক পত্রিকা, ট্যাবলয়েড, ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে টিভি চ্যানেল, চলচ্চিত্র, বই প্রকাশনা, শেয়ার ব্যবসা কী নেই তাঁর। কয়েক যুগ ধরেই পশ্চিমা মিডিয়ার সাম্রাজ্য দখল করে রেখেছেন রুপার্ট মার্ডক। অস্ট্রেলিয়ায় জন্মেও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর প্রভাব বহুদূর।
