পৃথিবীর মাত্র এক শতাংশের চেয়েও কম মানুষ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হন। খারাপ খবর হলো, যারাই আক্রান্ত হয়ে থাকেন ভয়াবহ এ রোগটিতে, তাদের শরীরের গোপনে দেখা যায় কিছু লক্ষণ। চলুন রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে জেনে নেই ব্রেইন টিউমারের নীরব লক্ষণগুলো সম্পর্কে।
মাথাব্যথা : ব্রেইন টিউমার হলে তীব্র মাথাব্যথা হয় আর এই মাথাব্যথা সহজে ছেড়ে যেতে চায় না। মাঝে মাঝে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথেই মাথাব্যথা শুরু হয়ে থাকে। ওষুধ খেয়েও এ রোগ ভালো না হলে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হোন।
কমে যায় দৃষ্টিশক্তি : দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায় ব্রেইন টিউমার হলে। এই লক্ষণটিকে ডাক্তাররা বলেন বাইটেম্পোরাল হেমিয়ানোপসিয়া। এই কারণে ঘরের আসবাবপত্রে ঘন ঘন ধাক্কা খাওয়া বা গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করার প্রবণতা দেখা যায়।
দুর্বলতা এবং আলস্য : যদি আপনার ব্রেইন টিউমার হয়ে থাকে আপনি শরীরের কোনও জায়গায় ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এছাড়াও হাত-পায়ে দুর্বলতাসহ এসব অঙ্গ নড়াচড়া করতে সমস্যা হতে পারে।
কথা গুছিয়ে বলতে না পারা : কথা গুছিয়ে বলতে না পারা, তোতলানো, জিনিসপত্রের নাম মনে রাখতে না পারা অথবা অন্য মানুষ কী বলছে সেটা বুঝতে না পারা- এই লক্ষণগুলো ব্রেইন টিউমারের প্রধান লক্ষণ।
খিটখিটে মেজাজ : ঘনঘন মনমরা হয়ে থাকা, রাগ এবং দুশ্চিন্তায় অনেকেই আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে এইসব মানসিক লক্ষণগুলো যদি কারো মধ্যে আগে থেকে দেখা না যায় অর্থাত্ হঠাত্ করে দেখা যায় তাহলে হতে পারে ব্রেইন টিউমার।
কানে তালা লাগা : যদি আপনি কানের এক পাশ থেকে শুনতে না পান অথবা ক্রমাগত কানে তালা লাগছে এরকম টের পান তাহলে আপনার টিনিটাস হয়েছে। এটি ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ।
বন্ধ্যাত্ব : যেসব নারীর ব্রেইন টিউমার হয়েছে তাদের সন্তান জন্মদানে জটিলতা হয়। সন্তান জন্ম নিলেও গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ কমে যায়।
শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা : যদি আপনার হাটতে অসুবিধা হয়, বিশেষত অন্ধকারে এবং আপনি হাটার সময় একপাশে কাত হয়ে হাঁটেন, তাহলে আপনার মস্তিস্কের সেরেবেলাম অংশে টিউমার হতে পারে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ