১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:০৫:০৩ অপরাহ্ন


সাগরিকায় রক্ষা বাংলাদেশের
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২৩
সাগরিকায় রক্ষা বাংলাদেশের ছবি: সংগৃহীত


কার্ড-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন না রুমা আক্তার। তার না থাকাটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে দল। শুরুতেই তো হজম করে বসে গোল। ঘরের মাঠের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে হারের হতাশা ভর করেছিল বাংলাদেশ ক্যাম্পে। শেষ পর্যন্ত নেপালের বিপক্ষে মান বেঁচেছে বাংলাদেশের। সাগরিকার চমৎকার গোলে রক্ষা পেয়েছে স্বাগতিকরা।

আজ (মঙ্গলবার) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এই ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের রানার্স-আপ হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে দিনের পরের খেলায় মুখোমুখি হয়েছে রাশিয়া-ভারত। ম্যাচটিতে না হারলেই চ্যাম্পিয়ন হবে রাশিয়া। তখন রানার্স-আপ হবে বাংলাদেশ।  

নিজেদের মাঠ বলে নেপালের বিপক্ষে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলের মূল অস্ত্র রুমা না থাকায় শুরু থেকেই ভুগতে হয়েছে স্বাগতিকদের। এই ডিফেন্ডারের অনুপস্থিতিতে ম্যাচ ঘড়ির অষ্টম মিনিটেতেই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। দারুণ এক গোল করেন সেনু পারিয়ার। মাঝমাঠ থেকে একাই বল নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার জয়নব বিবিকে গতিতে হারিয়ে জাল খুঁজে নেন নেপালি ফরোয়ার্ড। 

পিছিয়ে পড়া স্বাগতিকরা গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। একের পর এক আক্রমণ চালায় নেপালের রক্ষণে। তবে সফল হচ্ছিল না। একবার যেমন পোস্টের সামনে বল পেয়েও দুর্বল শটে সুযোগ নষ্ট করেন সুরভি আকন্দ প্রীতি। কিছুক্ষণ পর হতাশা বাড়ান সাগরিকা। 

১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে এসে আরও গতি বাড়ায় গোলাম রব্বনী ছোটনের দল। ৭০ মিনিটে এসেছিল সুবর্ণ সুযোগ। যদিও নেপালের তিন খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়েও জাল খুঁজে নিতে পারেননি তৃষ্ণা রানী।

তবে ৭৫ মিনিটে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ওই তৃষ্ণার ক্রস থেকেই আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। তাঁর ক্রস থেকে ফাঁকায় থাকা সাগরিকা বল জড়িয়ে দেন জালে। তাতে আনন্দে মাতোয়ারা বাংলাদেশ দল। জেতার সম্ভাবনাও তো তৈরি হয়েছিল। অন্তত তিনবার খুব কাছে গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাগতিকরা। ফলে নেপালের পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।