২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন


নারীদের জন্য নিরাপদ নামাজের স্থান চেয়ে ৬৪ জেলায় আইনি নোটিশ
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৩-২০২৩
নারীদের জন্য নিরাপদ নামাজের স্থান চেয়ে ৬৪ জেলায় আইনি নোটিশ নারীদের জন্য নিরাপদ নামাজের স্থান চেয়ে ৬৪ জেলায় আইনি নোটিশ


বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের জন্য আলাদা নিরাপদ নামাজের স্থান রাখতে অথবা নির্মাণ করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিপণী বিতান, মার্কেট, জনসমাগম স্থল, আদালত, পর্যটনস্থল, বিমান বন্দর, রেল স্টেশন, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে আলাদা নামাজের স্থান চাওয়া হয়েছে।

রাজধানী ঢাকার ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা শবনম ভূঁইয়ার পক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। নোটিশ গ্রহণ করার ৪০ দিনের মধ্যে নারীদের জন্য আলাদা নিরাপদ নামাজের স্থান রাখা অথবা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে। 

আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, “বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান উদ্যোগ না নিলে মক্কেলের পক্ষে হাইকোর্ট রিট আবেদন করা হবে।”

নেটিশে বলা হয়েছে, ‘আমার মক্কেলের (শবনম ভূঁইয়া) মত অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারীকে ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে নামাজ আদায় করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হলে সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করতে পারছেন না। সংবিধান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েও তারা ধর্মীয় আচার পালনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি সংবিধানের ৪১(১) অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

নেটিশে আরো বলা হয়েছে, সংবিদানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে আইনের দৃষ্টিতে দেশের সব নাগরিকের অধিকার সমান। ফলে নোটিশ প্রেরণকারীর মত দেশের সব ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারীদের অধিকার আছে মুসলিম পুরুষদের মত ঘরের বাইরে উপযুক্ত স্থানে নামাজ আদায় করার। কিন্তু উপযুক্ত নিরাপদ আলাদা স্থান না থাকায় সে অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

নোটিশে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিপণী বিতান, মার্কেট, জনসমাগম স্থল, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে নারীদের নামাজ আদায়ে আলাদা স্থান হয়েছে। আমাদের দেশে এরকম ব্যবস্থা না থাকায় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারীদের ধর্মীয় আচার পালনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; যা সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন।  

মন্ত্রী পরিষদ সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, গণপূর্ত সচিব, রেল সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, বাণিজ্য সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি), ইসলামি ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসককে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।