১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:০১:৩০ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে আম গাছে বাঁধছে গুটি, রেকর্ড উৎপাদনসহ ভালো দামের আশা!
মঈন উদ্দিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৩-২০২৩
রাজশাহীতে আম গাছে বাঁধছে গুটি,  রেকর্ড উৎপাদনসহ ভালো দামের আশা! রাজশাহীতে আম গাছে বাঁধছে গুটি, রেকর্ড উৎপাদনসহ ভালো দামের আশা!


গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর রাজশাহীতে সর্বোচ্চ মুকুলের ভারে নুয়ে পড়া আমগাছ গুলোতে গুটি বাঁধতে শুরু করেছে। গুটি দানাগুলি নজর কাড়ছে সবার। সেই সঙ্গে রঙিন স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে আমচাষী ও বাগান মালিকদের মনে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গতবারের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার আম পাকবে রোজার পর। ফলে এবার আমের ভালো দাম পাবেন চাষীরা।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলা নিয়ে রাজশাহী কৃষি অঞ্চল। চলতি মৌসুমে এ চার জেলাজুড়ে আমবাগান রয়েছে ৮৪ হাজার ৩৮৮ হেক্টর। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ১৭ হাজার ১২৮ টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৪ হাজার ৭৩৮ হেক্টরে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮, নওগাঁর ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৫ ও নাটোরের ৫ হাজার ৮৫৭ হেক্টরে জমিতে ৮২ হাজার ৩৯৩ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় মোট আমবাগান ছিল ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর। ওই মৌসুমে আম উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪০ দশমিক ৫৩ টন। ওই মৌসুমে আম বাণিজ্য হয় প্রায় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৬২ হাজার টাকার। অন্যদিকে ২০২০-২১ মৌসুমে আমবাগান ছিল ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর। সেবার মোট উৎপাদন হয় ২ লাখ ১৭ হাজার ১২৮ টন। প্রায় ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার আম বিক্রি হয়েছে ওই মৌসুমে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার শীত ও কুয়াশা তুলনামূলক কম হওয়ায় মুকুলের ক্ষতি কমেছে অনেকটাই। সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া ও ক্রমেই তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি আমের জন্য সুবিধাই বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এক সময় রাজশাহীর আম বলতে শুধু জেলার বাঘা ও চারঘাটেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এখন আমবাগানে বিস্তৃতি ঘটেছে জেলার সব উপজেলায়। এমনকি শহরেও বেড়েছে আমের গাছ। সব মিলিয়ে এখন রাজশাহীর সর্বত্র হচ্ছে আমবাগান। এদিকে, আম গাছে কীটনাশক স্প্রে, গোড়ায় পানি দেওয়াসহ সব রকমের পরিচর্যা চলছে পুরোদমে।

ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গাছে গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। ইতোমধ্যে সে সব মুকুল থেকে গুটি আমে রূপান্তরিত হচ্ছে। আরও ক’দিন পর গাছের ডালে ডালে দৃশ্যমান হবে আম।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়াও ভালো রয়েছে, মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হবে, রোদ হবে। এখন পর্যন্ত খারাপ কিছুই লক্ষ্য করা যায়নি। জেলায় প্রায় আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।