১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন


পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়ে ফেঁসেছেন ট্রাম্প!
সুমাইয়া তাবাস্সুম
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৩-২০২৩
পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়ে ফেঁসেছেন ট্রাম্প! পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়ে ফেঁসেছেন ট্রাম্প!


পর্ন ছবির অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ‘হাশ মানি’ দেওয়ার অভিযোগেই শাস্তি পেতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ স্টর্মির অভিযোগ, মুখ বন্ধ করার জন্য তাঁকে ঘুষ হিসেবে টাকা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রশ্ন হল, কে এই স্টর্মি ড্যানিয়েলস, তাঁর সঙ্গে কীই বা ঘটেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের, যে জন্য এত কঠিন মামলায় ফাঁসলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

পর্ন তারকা অর্থাৎ নীলছবির অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত স্টর্মি ড্যানিয়েলসের আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। ২০১০ সালে তিনি লুসিয়ানার রিপাবলিকান সিনেট মনোনয়নের জন্য প্রতিযোগিতা করে রাজনীতিতেও নাম লেখিয়েছিলেন। এর পরে ২০১১ সালে নিজের আত্মজীবনী ‘ফুল ডিসক্লোজার’ লিখেছিলেন তিনি। এই নিয়েই মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘ইন টাচ’-এ একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি প্রথম দাবি করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল তাঁর।  

স্টর্মির এই সাক্ষাৎকার নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা আমেরিকা তথা বিশ্বে। সংবাদমাধ্যমের সামনে ড্যানিয়েলস দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের শুরু হয়েছিল। সেই বছর জুলাই মাসে একটি গলফ টুর্নামেন্টে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়। এর পরে ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডার রিসর্ট এলাকার হোটেলে তাঁরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন বলেও দাবি করেন তিনি।

পাশাপাশি স্টর্মির দাবি, এই যৌন সম্পর্কের কথা যেন কেউ জানতে না পারে, সে জন্য তাঁকে প্রবল চাপ দেন ট্রাম্প। অভিযোগ, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষও দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী।

এই অভিযোগেই তদন্ত শুরু হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। তদন্ত করেছেন ম্যানহাটান ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগ। তাঁরই রিপোর্টের ভিত্তিতে সামনে এসেছে একাধিক অপরাধ।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খুব স্বাভাবিক ভাবেই আগামী বছরের নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে এই রিপোর্ট। তবে এই সমস্ত যখন জল্পনা ও আলোচনার স্তরে ছিল, তখনই ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও তিনি নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাবেন। তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।

ট্রাম্পের আইনজীবী সুসান নিচেলিস এবং জোফেস ট্যাকোপিনা ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা যথেষ্ট জোর দিয়ে এই মামলা লড়বেন। তবে ট্রাম্প এই বিষয়ে কী ভাবছেন, অপরাধ আদৌ স্বীকার করবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

যদিও এসবের অনেক আগেই এক বিবৃতিতে ট্রাম্প নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এটি আমেরিকার ইতিহাসে বিরল। এর আগে কখনও এই পর্যায়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন হয়নি এবং নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ ঘটানো হয়নি। যদিও ট্রাম্প তাঁর সপক্ষে কোনও প্রমাণ বা যুক্তি কখনওই দেননি।