ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় স্বামী বিদেশে থাকায় গৃহবধূকে টানা পাঁচ বছর ধর্ষণ করে কামাল নামে এক ব্যক্তি। ধর্ষণের একপর্যায়ে গৃহবধূর ছেলেসন্তান জন্ম হয়। এতে অভিযুক্ত সন্তানকে অস্বীকার করলে ওই গৃহবধূ তার বিরুদ্ধে মামলা করলে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় কামাল।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাতে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ছয় বছর আগে ভুক্তভোগীর স্বামী বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকে আসামি কামাল হোসেন ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসামি। এরপর তাকে জিম্মি করে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল আসামি কামাল। সবশেষ গত বছর ২৬ এপ্রিল রাতে স্বামীর বসতঘরে এসে ধর্ষণ করলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ভুক্তভোগীর ছেলেসন্তান জন্ম দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওইদিন তার স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। কোনো উপায় না পেয়ে আসামির বাড়িতে উঠলে আসামি কামাল সন্তানকে অস্বীকার করে। পরে নবজাতক খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করলে আসামির মা তার ঘরে নিয়ে গেলে সেখানে ভুক্তভোগী তার সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ওইদিন ভোরে নবজাতকটির মুখ থেকে ফেনা বের হয়ে মারা যায়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, কীভাবে শিশুটির মারা গেছে তা তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানায় আসামি মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
নবজাতক সন্তানের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনসাপেক্ষে হত্যা সংক্রান্ত ৩০২ ধারা সংযোজন প্রক্রিয়াধীন। আসামি কামাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।