২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:২৫:০৩ অপরাহ্ন


গ্যাস-ওভেনে সেঁকা রুটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর: গবেষণা
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৪-২০২৩
গ্যাস-ওভেনে সেঁকা রুটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর: গবেষণা গ্যাস-ওভেনে সেঁকা রুটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর: গবেষণা


রুটি মানুষের খাদ্যের একটি অংশ। কিছু অঞ্চলের মানুষ আছে যাদের রুটি ছাড়া এক দিনও চলে না। এটি তৈরির একটি সাধারণ প্রক্রিয়া হলো আটা বা ময়দা পানি মেখে রাখা হয়। পরে রুটি বানিয়ে আগুনে সেঁকে নেয়া হয়। কিন্তু এতকিছুর পরও রুটি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা বিপজ্জনক জানেন কি? বিশেষ করে সরাসরি আগুনে সেঁকা রুটি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, গ্যাসের ওভেন থেকে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এবং সূক্ষ্ম কণা নির্গত হয়। এসব কণা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। এই দূষণকারী পদার্থগুলো শ্বাসকষ্ট, হৃদ্‌রোগ এমনকি ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

এ ছাড়া নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্যানসার জার্নালে আরেকটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হাই ফ্লেমে খাবার রান্না করলে কার্সিনোজেন তৈরি হয়। এগুলোও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয় না।

২০১১ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, যখনই রুটি সরাসরি আগুনের সংস্পর্শে আসে। এ থেকে অ্যাক্রিলামাইড নামক রাসায়নিক তৈরি করে টোস্ট তৈরি করা হতো। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গমের আটার মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি ও প্রোটিন রয়েছে। উত্তপ্ত হলে কার্সিনোজেনিক রাসায়নিক উৎপাদন করে। এর ব্যবহার নিরাপদ বলে মনে করা হয় না।

তাহলে কী করতে হবে?

আরও কিছু গবেষণা উচিত। তবেই ছবিটি সম্পূর্ণ পরিষ্কার হবে। তবে রুটি একেবারেই বেশি সেঁকা উচিত নয়। এর ফলে কার্বনাইজড কণা ও বিষাক্ত উপাদান শরীরে চলে যায়। 

সূত্র: আজতাক বাংলা।