গত (৩১ জানুয়ারি ২০২৩) বরিশাল জেলার মুলাদী আলোচিত মনির হত্যা মামলা তদন্তকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেফতার করার সময় আব্বাস গ্রুপের সাথে হাতাহাতি হয় প্রশাসনের। সেই সুযোগ পালিয়ে যায় আব্বাস হাওলাদার। তবে আজ আবদি গ্রেপ্তার হয়নি পলাতক আসামি আব্বাস। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সেই সাথে পথে ঘাটে চায়ের স্টলে স্থানীয়দের আলোচনা করতে শোনা যাচ্ছে। তারা বলছেন, আব্বাসের খুঁটি খুঁটির জোর কোথায়? কে আছেন এই আব্বাসের পেছনে। এত ক্ষমতার অধিকারী এই কে আব্বাস! একাধিক মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের উপর হামলা করে পালিয়ে যাওয়া আব্বাস এখনো কেন গ্রেফতার হচ্ছে না !
এ নিয়ে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের মাঝে।
চাঞ্চল্যকর মনির হত্যা মামলার মূল হোতা আব্বাস হাওলাদার নানার অপকর্মের সাথে জড়িত। হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী। তারপও প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে। অজ্ঞাত কারনে সে থাকছে প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাহিরে এমননি দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
প্রশাসনের উপর হামলা করে আব্বাস-সহ তার বাহিনী একটি সন্ত্রাস দল। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখনো গ্রেফতার করতে পারেননি সন্ত্রাস আব্বাস"কে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ৩১ শে জানুয়ারি ২০২৩ ইং মুলাদীতে চাঞ্চল্যকর মনির হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ধস্তাধস্তি-হাতাহাতির শিকার হয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুই সদস্য। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম।
এসআই রুহুল আমিন জানান, মুলাদীর আলোচিত মনির হোসেন হাওলাদার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনি। সেই হিসেবে সন্দেহভাজন আসামি আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেফতারের জন্য অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের পল্টুনে অবস্থান নেন তিনি ও আব্দুল হাকিমসহ সিআইডির একটি টিম। এ সময় আসামির স্বজনরা সিআইডি পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় দেখে তাদের ঘিরে ধরেন এবং ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি করেন। এতে তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম সামান্য আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি জানিয়ে এসআই রুহুল আমিন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জানানা, মুলাদী উপজেলার চর কমিশনার এলাকার রব হাওলাদারের ছেলে আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেফতারে অভিযান চালায় সিআইডি । এসময় আব্বাসের হয়ে তার ৬/৭ জন স্বজন ও সহযোগী এসে সিআইডি টিমকে বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সুযোগে আব্বাস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ধস্তাধস্তিতে সিআইডির দুই সদস্য আহত হন। অ
প্রশাসনের উপর হামলা ও মনির হত্যা মামলার সন্দেহজনক আসামী আব্বাসকে গ্রেফতার ও হত্যার প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ মে সকাল ৯টায় মুলাদীর চর কমিশনার গ্রামের ঘেরের পাশে মনির হাওলাদারের (২২) চক্ষু তুলে ফেলা ও গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মনিরের ছোট ভাই পারভেজ হাওলাদার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে মুলাদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ৪ জুলাই মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করেন বিজ্ঞ আদালত।