২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:২৮:২০ অপরাহ্ন


হবিগঞ্জে শাশুড়ি-পুত্রবধূ হত্যায় দুইজনের যাবজ্জীবন
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৪-২০২৩
হবিগঞ্জে শাশুড়ি-পুত্রবধূ হত্যায় দুইজনের যাবজ্জীবন হবিগঞ্জে শাশুড়ি-পুত্রবধূ হত্যায় দুইজনের যাবজ্জীবন


হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামে ইংল্যান্ড প্রবাসী আখলাক চৌধুরী গুলজারের মা মালা বেগম (৫০) ও স্ত্রী রুমি বেগম (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।  

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার আমতৈল গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তালেব মিয়া (২৯) ও একই উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (২৫)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালেহ আহমেদ জানান, দুই আসামি কুপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করতে না পেরে শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে। এই দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। মামলার ৩২ সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জনের সাক্ষী গ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ মে দিবাগত রাত ১১টার দিকে নবীগঞ্জ থানার সাদুল্লাপুর গ্রামে ইংল্যান্ড প্রবাসী আখলাক চৌধুরী গুলজারের বাড়ি থেকে হঠাৎ ‘আগুন আগুন’ চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন বেড়িয়ে এসে আখলাক মিয়ার বাড়িতে তার মা ও স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় ঘরের বাইরে থেকে গৃহবধূ রুমি বেগম ও ভেতর থেকে মালা বেগমকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ দুটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। এ ঘটনায় নিহত রুমি বেগমের ভাই পরদিন নবীগঞ্জ থানায় তালেব ও শুভকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায়। ওই দুইজনকে আসামি রেখে ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ওসি শাহ আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।