২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ০২:৫৭:০৮ পূর্বাহ্ন


নগরীর বিনোদনকেন্দ্রেগুলোতে মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৪-২০২৩
নগরীর বিনোদনকেন্দ্রেগুলোতে মানুষের ঢল নগরীর বিনোদনকেন্দ্রেগুলোতে মানুষের ঢল


রোদ-মেঘের লুকোচুরি মধ্যে ঈদের ছুটিতে রাজশাহী নগরীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনকে নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

আজ সকাল থেকে তাই রাজশাহীর শহীদ জিয়া শিশুপার্ক, বড়কুঠি পদ্মার পাড়, তার অদূরেই থাকা সীমান্ত অবকাশ, সীমান্তে নোঙর এবং ভদ্রা শিশুপার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। নগরের প্রধানতম বিনোদনকেন্দ্র শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের জন্য এখনও রয়েছে বন্ধ। এতে বাড়তি চাপ পড়েছে শিশুপার্কে।

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে ঈদের খুশিতে সবাই মাতোয়ারা। ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি শেষ হচ্ছে। আর তাপপ্রবাহ অন্য কয়েক দিনের তুলনায় আজ একটু কম। তাই প্রাণভরে ঈদের অনাবিল আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় করেছেন সেখানে। রাজশাহীর বাইরে থেকেও মানুষ আসছেন। শিশুপার্কে গিয়ে বড়রাও যেন আজ শিশুতোষ মন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। শিশুদের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যেন নিংড়ে তুলে নিচ্ছেন জীবনের ফেলে আসা শৈশব ও কৈশোরের সেই পরমানন্দগুলো।  

নগরীর শহীদ জিয়া শিশুপার্ক, বড়কুঠি পদ্মার পাড়, সীমান্ত নোঙর, ভদ্রা শিশুপার্কসহ বিনোদনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভিড় জিয়া শিশু পার্ক ও পদ্মা গার্ডেনে।

সীমান্ত নোঙর পেরিয়ে সামান্য পথ পেরুলেই চোখে পড়ে সুদৃশ্য গ্যালারি সমৃদ্ধ মুক্তমঞ্চ। এটি লালন শাহ পার্ক। আঁকাবাঁকা সিঁড়ির মতো সাজানো-গোছানো গ্যালারিতে বসে অনায়াসে দেখা যায় পদ্মার অপরূপ দৃশ্য।

এদিকে ঈদ উৎসবের এমন শত ঝুট-ঝামেলা পেরিয়ে আসা মানুষগুলো শিশুপার্কে ঢোকার পরই যেন ভুলে যান সব ধরনের তিক্ততা। বাইরে সমস্যা যাই থাক ভেতরে ঢোকার পর সবার চোখেমুখেই দেখা যায় খুশির ঝিলিক।

ছয় বছরের ছোট্ট শিশু ফারিহাকে নিয়ে রাজশাহীর শহীদ জিয়া শিশুপার্কে আসা ফাহিম হাসান বলেন, ছুটির কারণে শহরে সেই চিরচেনা যানজট নেই। আর ছুটিও শেষ হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ আবহাওয়া একটু ভালো। তাই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শিশুপার্কে বেড়াতে এসেছেন। আর পার্কে আজ বেশ ভিড়। তাই খুব ভালো লাগছে বলেও জানান।

লালন শাহ পার্ক পেরিয়ে একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে হযরত শাহ মখদুমের (রহ.) মাজার। নদীর পাড়ঘেঁষে এ মাজারের অবস্থান। মাজার জিয়ারত কিংবা পরিদর্শনে এসে এক পলকের দেখা মেলে পদ্মা নদীর। মাজার সড়কের এপারেই নদীর ঘাট পর্যন্ত সুরম্য সিঁড়ি করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন।