২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন


১২ বছর স্বামী ভেবেই পর-পুরুষের সঙ্গে কেটেছে রাত!
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০২-২০২২
১২ বছর স্বামী ভেবেই পর-পুরুষের সঙ্গে কেটেছে রাত! ফাইল ফটো


স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ যে তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তা খুব সহজে করা যায় না। কিন্তু এই সম্পর্কেও মাঝে মাঝে ঘটে যায় এমন অঘটন যা হতবাক করে দেয় মুহূর্তে। ভাবুন তো, একজন নারী যদি একজন পুরুষকে তাঁর স্বামী বলে মনে করেন এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং হঠাত্‍ একদিন জানতে পারেন যে তিনি তাঁর স্বামী নন, তাঁরা জীবনের একজন পর পুরুষ, তাহলে তাঁর কী হবে? এমনই কিছু ঘটেছে ইংল্যান্ডে বসবাসকারী এক মহিলার সঙ্গে। 

মহিলাটি তাঁর স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর কিছু সমস্যা ছিল। যদিও সমাজ জীবনে তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্কই বজায় রেখে চলছিলেন। হঠাত্‍ একদিন মহিলা জানতে পারেন যে তিনি যার সঙ্গে স্ত্রী হিসেবে ঘোরাফেরা করছেন সে আসলে তাঁর স্বামী নয় তাঁর আলাদা সংসার রয়েছে। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক এবং একই সঙ্গে উদ্বেগজনক।

এই অদ্ভুত গল্পটি রাছপাল এবং একমাত্র রান্ধাওয়ার। তারা ১৯৭৮ সালে বার্কশায়ারের স্লো রেজিস্ট্রি অফিসে বিয়ে করেন। দুজনেই ২০০৯ সাল পর্যন্ত একসঙ্গে থাকতেন এবং তারপর একে অপরের থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন।

তবে তাঁরা শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। মজার ব্যাপার হল যে জানা যায় রনধাওয়া আবার বিয়ে করেছেন এবং তার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তার স্ত্রী এই বিষয়ে অবগত ছিলেন না।

আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই মহিলা নিজেও ডিভোর্স নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না। পরে বিষয়টি স্ত্রীর সামনে আসলে তিনি পারিবারিক আদালতে যান। এখানে জানা যায় যে এক বা দুই নয়, ১২ বছর আগেই স্বামীর তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

অথচ তিনি ডিভোর্সের কোনও তারিখও জানেন না বা তিনি বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্রে স্বাক্ষরও করেননি। এমন পরিস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদের কথা শুনে হতবাক হয়ে যান ওই মহিলা। পরে জানা যায়, ২০১০ সালে স্ত্রীর জাল স্বাক্ষর করে শুধুমাত্র রাধাওয়াই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এগিয়েছিলেন। এরপর ২০১১ সালে অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি এবং তাদের একটি সন্তানও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের নতুন আইন অনুযায়ী, বিবাহবিচ্ছেদ আরও সহজ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে এর জন্য কোনও সরকারী ভিত্তির প্রয়োজন নেই। এপ্রিল থেকে কোনও ভুল বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হবে না বলেও জানিয়েছে সেখানকার আইন ব্যবস্থা।

রাজশাহীর সময় /এএইচ