২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:২৪:৫৮ অপরাহ্ন


২৬ ফ্রেব্রুয়ারীর পর প্রথম ডোজ বন্ধ ঘোষণায় রাজশাহীর টিকা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল
মঈন উদ্দীন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০২-২০২২
২৬ ফ্রেব্রুয়ারীর পর প্রথম ডোজ বন্ধ ঘোষণায় রাজশাহীর টিকা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল ২৬ ফ্রেব্রুয়ারীর পর প্রথম ডোজ বন্ধ ঘোষণায় রাজশাহীর টিকা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল


আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই সিদ্ধান্তের ঘোষণার পর রাজশাহী নগরীসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। বুথ না বাড়লেও টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় সবখানেই বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর প্রেমতলীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান ফটক থেকে অন্তত ৪০০ মিটার দূরে নারী ও পুরুষদের আলাদা আলাদা স্থানে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে থেকেই নারী ও পুরুষের আলাদা আলাদা দুটি লাইন।

টিকা দেওয়ার স্থান থেকে হাসপাতালের প্রধান ফটক আরও দূরে হলেও লাইন আরও বেশি দীর্ঘ হতো। তা না হওয়ায় হাসপাতাল চত্বরের ভেতরেই সাপের মত আঁকাবাঁকা হয়ে লাইন চলে গেছে প্রধান ফটক পর্যন্ত। কয়েক হাজার নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে। হালকা শীতের মধ্যে গরমে ঘামছিলেন তারা।

টিকা প্রয়োগ কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানালেন, ২৬ তারিখের পর প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগ বন্ধ হবে, এ খবর প্রকাশের পর মানুষের ঢল নেমেছে। প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার মানুষ টিকা নিতে আসছেন। নারী-পুরুষের দুটি করে চারটি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তাও ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। আরও কিছু বুথ বাড়াতে পারলে ভিড় কিছুটা কমানো যেত।

রামেক হাসপাতালে বেলা সাড়ে ১১টায় নারীদের টিকা কেন্দ্রের বারান্দার সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন , কেউ যেন লাইন ভঙ্গ করে টিকা নিতে না পারেন এ নিয়ে মাঝে মধ্যই চলছে বাক-বিতন্ডা।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, কয়েকদিন ধরে সবখানেই ভিড় বেড়ে গেছে। ২৬ তারিখ ভিড় আরও বাড়তে পারে। এ জন্য আমরা বুথ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। গোদাগাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই চিত্র শুনে তিনি বলেন, ‘আগেই এখানে বুথ বাড়ানো দরকার ছিল। আমি দ্রুত বুথ বাড়াতে বলে দিচ্ছি।’

রাজশাহীর সময় /এএইচ