১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:৪৫:৩১ অপরাহ্ন


অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে 'মোখা', ১৭৫ কিলোমিটার বেগে চালাতে পারে তাণ্ডব
আবহাওয়া ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৫-২০২৩
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে 'মোখা', ১৭৫ কিলোমিটার বেগে চালাতে পারে তাণ্ডব ছবি-সংগৃহীত


আগামী রোববার দুপুর নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর প্রভাবে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ওই সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার।

শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় মোখার সবশেষ অবস্থান তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সুপার সাইক্লোন হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে ‘মোখা’ সিডরের মতো আই ফরমেশন বা চোখাকৃতির দিকে এগোচ্ছে। উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার গতি ঘণ্টায় আট থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে।

তিনি আরও বলেন, ‘এমন গতি অব্যাহত থাকলে আগামী রোববার দুপুর নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে মোখা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হবে। উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার।’

ঘূর্ণিঝড় মোখার ঝুঁকির বিষয়ে মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত পুরো চট্টগ্রাম বিভাগ ঝুঁকিতে আছে।

তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত নিয়ে তিনি বলেন, আজ (শুক্রবার) থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। কাল (শনিবার) থেকে সারা দেশেই বেড়ে যাবে বৃষ্টিপাত।

শুক্রবার (১২ মে) সকালে আবহাওয়া দপ্তরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, মোখা ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ- পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।