২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:০৩:৫৫ অপরাহ্ন


ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু রাশিয়ার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০২-২০২২
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু রাশিয়ার ফাইল ফটো


ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে আরও দুটি স্থানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিসির সাংবাদিক পল অ্যাডামস ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগে সেখানে তিনি পাঁচ থেকে ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।

এর আগে সংবাদদাতারা নিশ্চিত করেছেন, রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি দোনেৎস্ক ও ক্রামতোর্স্কে বিকট শব্দ শুনেছেন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ সময়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। 

ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিএনএনকে জানিয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হয়েছে।

এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রুশ জনগণের উদ্দেশে টেলিভিশন ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন দখলের কোনো পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। রাশিয়ার পদক্ষেপগুলো আত্মরক্ষামূলক বলে দাবি করেছেন তিনি।

একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ঘোষণা দিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের জনগণ ‘মুক্তভাবে নির্বাচন করতে’ সক্ষম হবে কারা দেশ পরিচালনা করবে?

এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান থেকে রাশিয়াকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদিন নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের কোনো বিকল্প নেই। যুদ্ধবন্ধে রাশিয়াকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেন্সকি।

পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লাখো সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। গত সোমবার পূর্ব ইউক্রেনকে স্বাধীন ঘোষণার পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান ছাড়াও ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপ লাইন নর্ড স্ট্রিম টুতেও কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ইউরোপ। আপাতত প্রকল্প স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ার আগ্রাসী ভূমিকার ওপর পরবর্তী কঠোর পদক্ষেপ নির্ভর করছে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসছেন রাশিয়ার ৩৫১ আইনপ্রণেতা। ইইউর ব্যাংকগুলোতে থাকা রাশিয়ার তহবিল আটকে দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।

রাজশাহীর সময় /এএইচ