২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন


কেরালা স্টোরি দেখে মডেলকে লাগাতার ধর্ষণ!
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৩
কেরালা স্টোরি দেখে মডেলকে  লাগাতার ধর্ষণ! কেরালা স্টোরি দেখে মডেলকে লাগাতার ধর্ষণ!


‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মুক্তির পর থেকেই দেশজুড়ে হৈচৈ। এবার এই ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশে অভিযোগ জানালো এক মডেল। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, ব্ল্যাকমেলিং-সহ একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগ গোটা ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালে, যখন অভিযুক্ত তনভীর আখতার মহম্মদ লাকে খানের মডেলিং এজেন্সিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। 

বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা অভিযোগকারিণী। মডেলিং ওয়ার্কশপের কাজে রাঁচি পৌঁছেছিলেন তিনি, সেখানেই অভিযুক্তর সঙ্গে আলাপ তাঁর। পরে তনভীর তাঁকে ‘২০২১ সাল থেকে লাগাতার ধর্ষণ করে, একইসঙ্গে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে’ বলে অভিযোগের প্রতিলিপিতে জানান নির্যাতিতা। 

একটা সময় তনভীরের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মুম্বই পালিয়ে আসেন তিনি, ভারসোভা পুলিশকে জানান অভিযোগকারিনী। কিন্তু তাতেও হেনস্থা বন্ধ হয়নি। শেষমেশ বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন মডেল। এই ব্যাপারে কাউকে কিছু জানালে ফল ভোগ করতে হবে, এমন হুমকি তাঁকে দিয়েছে অভিযুক্ত, দাবি  নির্যাতিতার।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২) (N), ৩২৮, ৫০৬, ৫০৪, ৩২৩ এবং আইটি অ্যাক্টের ৬৭ নম্বর ধারায় তনবীর আখতার মহম্মদ লাকে খানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মডেল স্পষ্ট জানান, সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ তাঁকে পুলিশে অভিযোগ জানানোর সাহস জুগিয়েছে। মডেলের কথায়, ‘শুরুতে সে আমাকে জানিয়েছিল তার নাম যশ। চার মাস পর আমি জানতে পারি ওর আসল নাম তনভীর আখতার। সে আমার ছবি আমার পরিবারের লোকজনকে পাঠাচ্ছে, আমাকে মুম্বইয়ে মেরে ফেলবার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে। দ্য কেরালা স্টোরি দেখে আমি পুলিশে অভিযোগ জানানোর সাহস পেয়েছি’। 

ইতিমধ্যেই রাঁচি পুলিশকে এই মামলা হস্তান্তর করেছে ভারসোভা পুলিশ। মুম্বইয়ে গিয়ে মডেলিং কেরিয়ার গড়ার স্বপ্নের কথা জানালে অভিযুক্ত জোরাজুরি করে তাঁর ধর্ম বদলের, এবং নির্যাতিতাকে বিয়ের জন্য জোর জরবদস্তি করে। অভিযোগকারিণীর আরও দাবি, শ্যুটিং-এর জন্য তাঁকে নিয়ে ব্যাংকক যাওয়ার কথা বলেছিল অভিযুক্ত, সে আপত্তি জানালে তাঁর ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেয়। মা ও ভাইকে মডেলের বেশ কিছু ছবি পাঠালে লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিল সে, কিন্তু তাঁকে উদ্ধার করে এক পরিচিত। পরে বাধ্য হয়ে অভিযুক্তর সঙ্গে ব্যাংকক যায় মডেল, সেখানে ধর্ষণের শিকার হয়। আগেও পুলিশে নালিশ জানিয়েছিল কিন্তু মুচলেকা দিয়েই ছাড় পেয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। সে জানিয়েছিল ভবিষ্যতে ওই মডেলকে হেনস্থা করবে না সে। যদিও পুলিশের কাছে জমা দেওয়া সেই মুচলেকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লাগাতার নানারকমভাবে ওই মডলেকে উত্যক্ত করে চলেছে তনভীর।