১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন


পদ্মায় নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৬-২০২৩
পদ্মায় নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার File Photo


মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নুরুল হকের লাশ পাওয়া গেছে। নিখোঁজের স্থান থেকে প্রায় ৭–৮ কিলোমিটার দূরে আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভাসমান অবস্থায় লাশের সন্ধান পান মাওয়া নৌ পুলিশের সদস্যরা।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের পাশে পানিতে ডুবে সব্যসাচী সোম দাশ ও নুরুল হক নিখোঁজ হন। ওই দিন বিকেল চারটার দিকে নদী থেকে সোমের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

পদ্মা সেতু এলাকায় গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ–পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে

নুরুল হক রাজধানীর বাড্ডার নতুন বাজার এলাকার শরিফুল হকের ছেলে। সব্যসাচী সোম দাশ রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া এলাকার সরোজ কুমার দাশের ছেলে। এ দুজন রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পদ্মা সেতু এলাকায় গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ–পুলিশ। শুক্রবার বিকেলেছবি: সংগৃহীত

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফোরকান মিয়া আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। আজ সকাল সোয়া সাতটা থেকে আবারও নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৭–৮ কিলোমিটার দূরে লৌহজং উপজেলার বর্ণপাড়া এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।

সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নুরুল হক, সোম দাশ, তাঁদের বন্ধু ইমরান হোসেন ও গাড়িচালকসহ চারজন ট্রলারে করে ঘুরতে যান। পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের কাছে পদ্মার চরে গিয়ে তাঁদের ট্রলার থামে। সেখানে ট্রলারচালকসহ ওই চারজন পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় স্রোতের তোড়ে নুরুল ও সোম পানিতে তলিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেল চারটার দিকে সোমের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

নিখোঁজ নুরুল হক তাঁর বাবা–মায়ের একমাত্র ছেলে ছিলেন। ছেলে হারিয়ে তাঁরা পাগলপ্রায় বলে জানান নিখোঁজ নুরুলের ফুপাতো ভাই মো. মোস্তফা নেয়ামুল হক। তিনি বলেন, ‘নুরুল শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বলেছিল বাড়ি ফিরে জুমার নামাজ পড়বে। ওর আর বাড়ি ফেরা হলো না। পদ্মায় গোসলে নেমে সব শেষ করে দিয়ে গেল। কেউ ওদের বাঁচাতে এল না।’