২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২৩
রাজশাহীতে ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব ছবি-রাজশাহীর সময়


রাজশাহীর চরশ্যামপুর ও দিয়াড়খিদিরপুর মৌজার বালুমহালটি বাংলা চলতি ১৪৩০ সালের জন্য ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বালু মহালটি ইজারা নিয়েছেন মেসার্স জাহাঙ্গীর ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী মো: জনি ইসলাম। তবে ইজারা গ্রহণের পর থেকেই ইজারাদার তার লোকজন দিয়ে ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে ড্রেজিং করে অব্যাহত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা গেছে, ইজারা দরপত্রে মোট ১৫টি শর্তাবলী রয়েছে। এরমধ্যে ১৩ নং শর্তাবলীতে উল্লেখ রয়েছে- ইজারা গ্রহণকৃত এলাকা ব্যতীত অন্য কোনও এলাকা হতে ইজারাদার বালু উত্তোলন করতে পারবেন না। অথচ এই শর্তাবলী লংঘন করে ইজারাদার ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, চরশ্যামপুর ও দিয়াড়খিদিরপুর মৌজার বালুমহালটি ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইজারাদার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে তার লোকজন দিয়ে ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। তারা কাজলা ফুলতলা সংলগ্ন চরসহ ইজারা বহির্ভূত আরো কিছু এলাকা থেকে ডেজিং করে বালু উত্তোলন করছেন। এরপাশেই রয়েছে মধ্যচর নামে পরিচিত একটি এলাকা। এই মধ্যচরে বসবাস করছেন নদী ভাঙ্গনের শিকার লোকজন। তারা নিম্নবিত্ত ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তাই ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে বালু উত্তোলনের ফলে মধ্যচরের সাধারণ বাসিন্দারা ঝুঁকির মুখে পড়বেন। ইজারাদার ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ও প্রভাবশালী হওয়ায় এ নিয়ে ভয়ে কেউই কথা বলতে পারেন না।  

জানতে চাইলে ইজারাদার মেসার্স জাহাঙ্গীর ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী মো: জনি ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই বালুমহালের কোনও হাইড্রোলিক জরিপ নেই। এছাড়া নৌবন্দর না থাকার কারণে এর হাইড্রোলিক জরিপের প্রয়োজন নেই বলেও প্রশাসনের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন। 

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এডিএম সাহেবকে দায়িত্ব দিচ্ছি।

জেলা প্রশাসক (রেভিনিউ) জানান, তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, আমি প্রয়োজনীয ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।