২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:২০:০৬ অপরাহ্ন


বৃষ্টির অভাবে পদ্মার চরে মরে যাচ্ছে পাট
বাঘা প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৬-২০২৩
বৃষ্টির অভাবে পদ্মার চরে মরে যাচ্ছে পাট বৃষ্টির অভাবে পদ্মার চরে মরে যাচ্ছে পাট


রাজশাহী বাঘায় বৃষ্টির অভাবে পদ্মার চরে তাপদাহে মরে যাচ্ছে যাচ্ছে পাট। কাংক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে একাধিকবার সেচ দিয়েও খেতের পাট বাঁচাতে পারছেন না কৃষকরা।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গত বছর ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। 

উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বর্গাচাষি সাজদুল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। কিন্তু অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরতাপের কারণে তার জমির পাটগাছ মরে যাচ্ছে। তার জমির বেশির ভাগ পাটগাছ পুড়ে মরে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সরেজমিন উপজেলার চকরাজাপুর পদ্মার চরে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার চরে রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে শত শত বিঘা জমিতে আবাদ করা পাট। ভালো দামের আশায় পাটের আবাদ বাড়লেও পানির অভাবে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। 

বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের পাট চাষী আমিরুল ইসলাম সড়কঘাটের নিচে কালিদাসখালী পদ্মার চরে আড়াই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। বৃষ্টির অভাবে তার জমির অধিকাংশ পাট গাছ পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি খুব চিন্তায় আছেন বলে জানান, কাংক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। মাঠঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে। ক্ষরায় পাটগাছের পাতা শুকিয়ে কুচকে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় বৃষ্টি না থাকায় মাঠে রোপণ করা পাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে পদ্মার বালু চরে যে আবাদ হবে, সেই আবাদ না করে চাষীরা অন্য আবাদ করে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চরে বাদামের আবাদ করলে হইতো এই ক্ষতিটা চাষীদের হতো না।